অবশেষে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর নেটওয়ার্ক অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ঈদের পর নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত জটিলতায় যে বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরের অনলাইন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তা থেকে সাময়িক মুক্তি পেলো বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।

প্রযুক্তি বিশ্লেষক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটর কর্তৃপক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিবি) সঙ্গে বৈঠক করে বিটিআরসি। এ সময় বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও আইএসপিবি এবং বিটিআরসির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিবি’র সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম জানিয়েছেন, বৈঠকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনলাইন নেটওয়ার্কিংয়ে সমস্যা হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না বলে বিটিআরসি আশ্বস্ত করেছে। তারা জানিয়েছে, আপাতত যেভাবে চলছে সেভাবেই সব চলবে। নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে এ বিষয়ে উপস্থাপিত সবগুলো বিষয় বিবেচনা করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে অবকাঠামো ভাগাভাগি সংক্রান্ত নীতিমালায় সংশোধন করে বিটিআরসি। সংশোধিত নীতিমালায় মোবাইল ফোন অপারেটররা নিজেদের কাজে ব্যবহার করা ছাড়া অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক অন্য কারো কাছে ভাড়া দিতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়।

সংশোধিত নীতিমালার আলোকে ১০ নভেম্বরের পর থেকে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও সিটিসেল তাদের নেটওয়ার্ক ভাড়া দিতে পারবে না মর্মে এ প্রোভাইডারেদর একটি চিঠি দেয় বিটিআরসি।

তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিকল্প পথও বাতলে দেয় বিটিআরসি। বিকল্প হিসেবে দেশব্যাপী ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য দেয়া এনটিটিএন লাইসেন্স কাজে লাগিয়ে নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

কিন্তু দেশব্যাপী ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য তিন বছর আগে দেয়া লাইসেন্সগুলো এখনো প্রস্তুত হয়নি। এখন পর্যন্ত তারা বড় কয়েকটি শহরের বাইরে যেতে পারেনি বলে জানা গেছে।

আইএসপিবি’র তথ্যমতে, ঢাকার বাইরের ৯০ শতাংশ অনলাইন যোগাযোগ গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও সিটিসেলের নেটওয়ার্কের ওপর তৈরি। ফলে ১০ নভেম্বরের পর থেকে নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন ভাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখা হলে অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়তো। ঈদের পর পরই ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরের অনলাইন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত জটিলতায় বিপর্যয়ের মুখে পড়তো।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here