ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে রিমান্ডের দুই আসামিকে লোকাল বাসে থানায় আনার ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি ইউনাইটেডনিউজকে নিশ্চিত করেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি বলেন, প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন, মোহাম্মদপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমান, কনস্টেবল মোতালেব ও আব্দুল লতিফ।
বিপ্লব কুমার বলেন, সোমবার বিকেলে নিম্ন আদালত থেকে দুজন রিমান্ড পাওয়া আসামিকে মোহাম্মাদপুরগামী তরঙ্গ নামে লোকাল বাসে করে মোহম্মদপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ থানা থেকে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যহার করে নেয়। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার হাফিজ আল ফারুককে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডিসি বিপ্লব জানান, মোহাম্মদপুর থানার ওই তিন পুলিশ সদস্য চুরির মামলার দুই আসামিকে আদালতের রিমান্ড মঞ্জুর শেষে থানায় আনার দায়িত্বে ছিলেন।
থানা থেকে প্রিজনভ্যান করে তাদের নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা থানাকে কোনো ধরনের তথ্য না দিয়ে ওই দুই আসামিকে প্রথমে সিএনজিতে পরে বাসে উঠিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়।
তিনি বলেন, তাদের ডেকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাবাদ করা হয়েছে। তারা বলেছে, তারা এটা করেছে শুছু শুধু সময় বাঁচানোর জন্য।’ কিন্তু এতে করে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। তাই তাদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পাশাপাশি তাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ছিল কিনা, তা জানতে মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার হাফিজ আল ফারুককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিপ্লব কুমার বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে রিমান্ডের আসামিকে লোকাল বাসে ওঠানোর অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোহাম্মদুপর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দীন মীর জানান, ইতোমধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত করে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে একটি সিএজি থেকে একজন এএসআই ও দুই কনস্টেবল এবং সাদা পোশাকের দুজন আসামিকে হ্যান্ডকাপ লাগানো অবস্থায় তারা তরঙ্গ বাসে উঠে পড়েন।