প্রায় এক’শ  কোটি টাকা লোকসানের বোঝা নিয়ে সেতাবগঞ্জ চিনিকল আখ মাড়াই আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। কাঁচা মালের স্বল্পতা, ব্যাংক ঋণ, অব্যবস্থাপনার কারনে গত কয়েক বছর ধারাবাহিক লোকসান, উন্নতজাতের আখের বীজ উদ্ভাবন না হওয়া, মেইন্টেনেসের নামে অর্থ লোপাট, উৎপাদন খরচের চেয়ে চিনির বিক্রি মুল্য কম, অন্যান্য ফসলে লাভের তুলনায় আখ চাষ কম হওয়ায় দিন দিন আখ উৎপাদন কমে যাওয়ায়, মিলে চিনি উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধি ও ব্যাবস্থাপনায় ক্রটি থাকায়, বিভিন্ন মালামাল ক্রয় বিক্রয়ে স্বচ্ছতা না থাকার কারনে লোকসানের বোঝা কমছে না। এদিকে, সেতাবগঞ্জ চিনিকলে ৩ হাজার ৫শ মেঃ টন চিটাগুড় অবিক্রিত পড়ে আছে। আজ  থেকে আসন্ন মৌসুমে উৎপাদিত আরও প্রায় ২হাজার ৪শ মেঃটন চিটাগুড়সহ ধারন ড়্গমতার চেয়ে বেশী এসব সংরক্ষনের বিষয়ে মিল কর্তৃপক্ষ পড়েছে বিপাকে। আবার এই অবিক্রিত চিটাগুড় বছরের পর বছর পড়ে থাকার কারনে এর গুনগত মান যেমন ন্‌ষ্ট হচ্ছে তেমনি লোকসানের বোঝা ভারী হচ্ছে এই চিনিকলের।

সেতাবগঞ্জ চিনিকলের এমডি আব্দুল রফিক জানান, চিনিকলে অবস্থিত চিটাগুড় সংরক্ষনের স্টিল ট্যাংকের ধারন ক্ষমতা ৪ হাজার মেঃটন। আসন্ন মৌসুমে উৎপাদিত চিটাগুড় নিয়ে সংরক্ষনের কোন সমস্যা হবে না। তা ছাড়া বিক্রি তো হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, চলতি মাড়াই মৌসুমে ৬০ হাজার মেঃটন আখ মাড়াই করে ৭.৫ গড় রিকোভারীর ভিত্তিতে ৪ হাজার ৫শত মেঃটন চিনি উৎপদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রায় মিলটি চালু থাকবে ৫৫ দিন।

বিরলের আখচাষী সোলেমান বলেন, কৃষকরা যখন অন্য ফসলের আবাদে লাভবান আখ চাষের চেয়ে বেশী হচ্ছে তখন সেদিকে ঝুকে পড়ছে। কিন্তু আখের মুল্য বেশী পেলে অন্য আবাদ না করে আখ আবাদই করবো। এরপরেও আখ ক্রয় সেন্টারে আখ বিক্রির সময় ওজন কারচুপি না হয়। কোন প্রকার উৎকোচ নেয়া না হয় সেদিকে মিল কর্তৃপড়্গকে দায়িত্ব নিতে হবে।

উল্লেখ্য যে, দিনাজপুর জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ সুগার মিলটি সর্ব প্রথম চালু হয় ১৯৩৩ সালে পরবর্তীতে এটিকে আধুনিকি করণ করে পুনরায় নুতনভাবে (২য় বার) ১৯৮৩ সালে চালূ করা হয়। কিন্তু কাঁচা মালের স্বল্পতা, ব্যাংক ঋণ, অব্যবস্থাপনার কারনে বন্ধের উপক্রম হয়েছে মিলটি।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সংকেট চোধুরী/দিনাজপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here