নিহত পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার ঘনিষ্ট ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাইয়ূমকে গুলি করা হয়েছে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান কাইয়ূম, আহত হন তার সহকর্মী। রোববার রাত ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এর ঠিক এক ঘণ্টা আগে রাত ১১টার দিকে জেলা শহরের বাসাইল এলাকায় লোকমান হোসেনের বাড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করা হয়। এতে নিহত মেয়র লোকমানের আত্মীয় বাবলু, সোহেল ও সাইমুম আহত হন।
হামলার পরপরই পুলিশ ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। কিন্তু একঘণ্টা পর কাইয়ূমের ওপর গুলি করার সময় পাশেই থাকা পুলিশ কোনো তৎপরতা দেখায়নি বলে অভিযোগ লোকমানের পরিবারের।
এর আগে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির পাশের একটি খোলা জায়গা থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
বিকালে নরসিংদী সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো তাজা বোমাগুলো একটি গামছায় পেঁচিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিলো। সেগুলো উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে বালতিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে নরসিংদী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভিতরে মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র লোকমান হোসেন।
হত্যাকান্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার রাতে লোকমানের ছোট ভাই মো. কামরুজ্জামান একটি মামলা করেন। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নরসিংদী