ডেস্ক রিপোর্ট:: দেশের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে লটারি পদ্ধতিতে দেয়া হয়েছে ভর্তির সুযোগ। আজ সোমবার ছিলো ফলাফলের তারিখ। অনলাইনে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর হুমরি খেয়ে পরে অভিভাবকরা। এর মধ্যে দেখা গেছে, ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফলাফলের তালিকায় তিনজন ছেলের নাম। নামগুলো হচ্ছে-ফায়াজ জাহাঙ্গীর ইশমাম, মো. জোবায়েরুল হাসান খান ও ফারাবী ইসলাম। তারা সবাই চুতর্থ শ্রেণিতে মর্নিং শিফটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে বলে ফলাফল শিট বলছে।

এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা। কীভাবে ভর্তির সুযোগ পেলো তিন ছেলে, সেই বিষয়ে চলছে রসিকতাও।

ফেসবুকে আবুল মনসুর নামে একজন লিখেছেন, ‘আমাদের সময় বা তার আগে পরে বিদ্যাময়ীতে গিয়ে পড়ার জন্য আমরা মুখিয়ে থাকতাম, কোন কাজের ছুতাতে ওখানে যেতে পারলে নিজেকে বীর হিসেবে মনে করতাম। আজকে সে ভাগ্যের জোরে ওখানে পড়ার সুযোগ পেলো। বাজানরে তুই আমাদের পূর্বের স্বপ্নকে পূরণ করলি, তোকে প্রাক্তন জিলাস্কুলিয়ান হিসেবে অভিনন্দন। জাতির মেধা নষ্ট করার জন্য লটারি নামক খেলার জন্য ধিক্কার জানাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বুদ্ধিজীবীদের। এখন মেধার বিচার রইলো না, ভাগ্য যার মেধা তার।’

সাদিয়া জামান নামে ফেসবুকে একজন লিখেছেন, ‘১৭৭ জন বোনের তিনটা মাত্র ভাই।
আজ লটারি ছিলো বলেই এভাবে ভাই বোন মিলেমিশে বিদ্যাময়ী গার্লস স্কুলে পড়ার সুযোগ পেলো।’

ছদরুল হাসান নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘বিদ্যাময়ী স্কুলের লটারি রেজাল্ট সিটের ৩ং পৃষ্ঠাতে এই ছেলের নাম পাওয়া গেলো বুঝতে পারছি না, লটারি কতটা ফেয়ার হইছে।’

আলী ইউসুফ নামে ময়মনসিংহে পরিচিত একজন সমাজ সেবক লিখেছেন, ‘বিদ্যাময়ীতে যেই ছেলে চান্স পাইছে তার ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। লটারি তাকে মেয়েদের সাথে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here