লক্ষ্মীপুর বাজারের পরিবেশ রক্ষায় পৌরসভার বিশেষ উদ্যোগ
জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্মীপুর বাজারের পরিবেশ নিয়ে বাজারে আসা সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে। কেননা বাজারে একই সাথে রয়েছে পল্ট্রি ফার্মের দোকান, খাবার ও মুদিমালের দোকান। পল্ট্রি মোরগের দোকানের সাথে অন্যান্য দোকান থাকায় ওই সব দোকানে আসা ক্রেতা সাধারণ দুর্গন্ধের কারণে প্রতিনিয়ত অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়।
এ ছাড়া বাজারে আসা অন্যান্য ক্রেতা সাধারণও দুর্গন্ধের কারণে স্বাচ্ছন্ধে তাদের কাজকর্ম করতে পারেন না। পল্ট্রি মোরগের দোকান গুলো থেকে প্রতিনিয়ত ভারী দুর্ঘন্ধের কারনে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পড়তে হয় বিড়ম্ভনায়। তাই বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা ও জন-সাধারণের দূর্ভোগ লাগবের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা।
জানা যায়, বাজারে পরিবেশ রক্ষায় পল্ট্রি মোরগের দোকান গুলোকে পুরো বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না রেখে নিদিষ্টি একটি স্থানে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বাজারের শেষ মাথায় খালের পাড়ে এক পাশ্বে দোকান নির্মাণ করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। দোকান গুলো নির্মাণ শেষ হলে মোরগের দোকান মালিকদের বরাদ্ধ দিয়ে তাদেরকে এক সাথে বাজারের শেষ মাথায় নিয়ে গিয়ে বাজারের পরিবেশ উন্নত করা হবে।
এতে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা ও জনসাধারণ স্বস্তিতে তাদের ক্রয়-বিক্রয়সহ অন্যান্য কাজকর্ম করতে পারবে। বাজারের ব্যবসায়ী আবুল ফয়েজ, হুমায়ুন কবির, আবদুল কাদের ও সফিকুল ইসলাম জানান, তারা দীর্ঘদিন থেকে মাছ বাজার রোডে ব্যবসা করে আসছেন, কিন্তু মুদিমালের দোকানের সাথে ও খাবারে দোকানে সাথে পল্ট্রি মোরগের দোকান থাকায় দুর্গন্ধের কারণে তাদের দোকানে একবার ক্রেতা আসলে সে ক্রেতা দ্বিতীয়বার আসেন না। দুর্গন্ধের কারণে তাদেরকেও প্রতিনিয়ত পেটের পিড়ায় ভূগতে হয়।
বছরের পর বছর এই অবস্থায় চলে আসলেও তাদের দূর্ভোগ লাগবের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে বহুদিন পরে হলেও বাজারে পরিবেশ রক্ষা পাবে। লক্ষ্মীপুর বাজারের ক্রেতা আবদুল হাই, আসিফ, মাসুদ আলম ও এমরান হোসেন বলেন, বাজারে আসলে দূর্গন্ধের জন্য আমরা স্বাচ্ছন্ধে কেনাকাটা করতে পারিনা। এখন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে যদি পল্ট্রি মোরগের দোকান গুলোকে বাজারে শেষ প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে বাজারের পরিবেশ অনেক সুন্দর হবে। আমরা স্বাচ্ছন্ধে বাজারে এসে কেনাকাটা করতে পারব।
এবিষয়ে পৌর কাউন্সিলর আবুল খায়ের স্বপন জানান, বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের দীর্ঘদিনে দাবির প্রেক্ষিতে পরিবেশ রক্ষায় পৌর কর্তৃপক্ষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পল্ট্রি মোরগের দোকার গুলোকে সরিয়ে বাজারের এক পার্শে¦ খালের পাড়ে নতুন করে নির্মিত দোকান ঘরে নিয়ে যাবে। এতে করে বাজারের পরিবেশ রক্ষা পাবে।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here