জহিরুল ইসলাম শিবলু,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫ কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জখম হওয়া রকিব ও শেখ ফরিদ নামের আরো দুইজন কৃষক নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবী করেছেন স্বজনরা।
সোমবার বিকালে আহতদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে দুপুরে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চরমেঘায় তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয় বলে জানান তারা। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও আলাউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের নোয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযানে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় চরমেঘার বাসিন্দা হারিছ সরদার ও ভোলার রাসেল খাঁ গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চরমেঘায় অবস্থিত জমি নিয়ে বিরোধ চলে অসছিল। দুপুরে বিরোধীয় ওই সম্পত্তিতে চাষ করা ধান কাটতে যায় হারিছ সরদারের লোকজন। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাসেল খাঁ গংয়ের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় দা-চেনী ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও এলোপাতাড়ী কুপিয়ে হারিছ সরদার সমর্থক কৃষক সোহেল, মোসলেহ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর, আলাউদ্দিন, রকিব, শেখ ফরিদ ও তাদের স্বজন শান্তাকে গুরুতর আহত (রক্তাক্ত জখম) করে তারা। আহত অবস্থায় তাদের ৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলেও দুইজনকে পাওয়া যাচ্ছেনা। তাদের (নিখোঁজদের) কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ সৈয়াল জানান, লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা তাদের আবাদী জমিতে ধান কাটতে গেলে ভোলার রাসেল খাঁয়ের নেতৃত্বে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত দুইজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। অপর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবির রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুঠোফোনে জানান, চরমেঘায় মারামারি ও নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।