জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: করোনা মহামারির কারণে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪ দিনব্যাপী লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২য় রাউন্ডের জন্য এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার।
এ সময় তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়, শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে, সকল ধরনের মৃত্যু হার শতকরা ২৪ ভাগ হ্রাস করে, হাম জনিত মৃত্যু হার ৫০ ভাগ হ্রাস করে ও ডায়রিয়া জনিত মৃত্যু হার ৩৩ ভাগ হ্রাস করাসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২য় রাউন্ডে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জেলার ১ হাজার ৫৬৬টি কেন্দ্রে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন করা হবে। এর মধ্যে স্থায়ী, অস্থায়ী, ভ্রাম্যমাণ ও অতিরিক্ত কেন্দ্র রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদরে ৫০৪টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৬ হাজার, রায়পুরে ২৬৫টি কেন্দ্রে ৪৮ হাজার ৫০, রামগঞ্জে ২৬৫টি কেন্দ্রে ৪৫ হাজার ৮৫, রামগতিতে ১৯৩টি কেন্দ্রে ৫২ হাজার, কমলনগরে ২১৭টি কেন্দ্রে ৩৭ হাজার ৯৪ এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ১২২টি কেন্দ্রে ২১ হাজার ২৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩২ হাজার ১৫৪ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯১ জনসহ প্রায় ৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। প্রথম সারির ১৮৪ জন সুপার ভাইজারের তত্তা¡বধানে জেলাজুড়ে ৩ হাজার ৭১০ জন কর্মী কাজ করবেন।
এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী, এফ ডব্লিউ ডব্লিউ, সিএইচসিপি ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা রয়েছেন।
ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক, মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল মাহমুদ, ডা. নাহিদ রায়হান।
এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন ।