জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত বুধবার থেকে ঔষুধ, কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান পাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নতুন করে শনিবার থেকে সন্ধ্যা ৬টার পর ঔষুধের দোকান ছাড়া কোনো দোকান খোলা থাকবে না বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এক নির্দেশনা জারি করেন। তাতে উল্যেখ করা হয় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পন্যবাহী ট্রাক ছাড়া বাস, সিএনজি চালিত আটোরিকসা, রিকসা ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। সকল ধরনের হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। ঔষুধের দোকার ছাড়া সন্ধ্যা ৬টার পর সকল দোকান এবং কাঁচাবাজার বন্ধ থাকবে। পৌরসভাসহ ইউনিয়নের সকল হাটবাজার বন্ধ থাকবে। সার ও কীটনাশকেরর দোকান সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া কোন প্রকার গুজবে কান না দিতে বলা হয়েছে। গুজব প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম বন্ধ করতে শানিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুদি দোকান ও কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। অন্য যেকোনো সময় মানুষ ঔষুধ ক্রয় ও হাসপাতালের যাওয়া ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবে না। ঔষুধের দোকান সব সময়ই খোলা থাকবে। বিনা কারণে যেন কেউ ঘর থেকে বের হতে না পারে সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছেন।

লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুনকরে ১১৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টারে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোয়ারেন্টারে সংখ্যা ১৩২৬ জন। তাদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টারে রাখা হয়েছে ১ জনকে। নির্ধারিত ১৪ দিন মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৭১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়। জেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টারে রয়েছেন ৬১২ জন।

তবে এখন পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা কোন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তারা সবাই সুস্থ আছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও এমন সন্দেহজনক রোগীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার চারটি হাসপাতালে ১০০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলার সরকারি হাসপাতাল সমূহে সাধারণ রোগের চিকিৎসা দিতে হটলাইন নাম্বার চালু করা হযেছে।

এ দিকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী শহরের অপ্রয়োজনীয় সকল দোকান বন্ধ রয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাহির হচ্ছেন না। জন- সচেতনতায় মাঠে কাজ করছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here