জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরের কলেজছাত্র জসিম উদ্দিনকে (১৯) মোবাইল ফোনে ডেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে।

নিহত জসিম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ও চন্দ্রগঞ্জের কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সোমবার বিকেল ৩টার দিকে জসিমের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে ৯ জনের নামে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় রওশন আরা নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রওশন আরার মেয়ে পিংকি মোবাইল ফোনে জসিমকে ডেকে নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে রবিবার রাতে বেগমগঞ্জের জাহানারাবাদ গ্রামে ডেকে নিয়ে জসিমকে হত্যা করা হয়।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, রবিবার দুপুরে জসিম তার বাবার জন্য ওষুধ কিনতে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে যান। এ সময় পূর্বপরিচিত পিংকি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জসিমকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমিনবাজারে ডেকে নিয়ে যান। সেখান থেকে জাবেদ, মানিক, রাহাত ও বাবুলসহ কয়েক সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে তাকে একই উপজেলার জাহানারাবাদ গ্রামে তুলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা জসিমের পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। জসিমের বাবা মুক্তিপণের টাকা দিতে পারেননি। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে তারা রাত ৮টার দিকে জসিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

জসিমের চাচাতো ভাই শাজ উদ্দিন দুলাল বলেন, জসিমকে আটকে রেখে সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। কিন্তু তার বাবার পক্ষে তা দেয়া সম্ভব হয়নি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জসিমকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার রওশন আরার মেয়ে পিংকি জসিমকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here