পুলিশ দম্পতির নির্মম নির্যাতনে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু রোমেলা খাতুন (৮)’র চিকিৎসায় তার পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন তার পরিবার।

তার দরিদ্র বাবা-মা’র পক্ষে রোমেলার প্রতিদিনের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে তারা সমাজের বিত্তবান মানুষদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সবার একটু সহানুভূতি, একটু সহায়তা আর একটু ভালবাসায় হয়তো সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারে অসুস্থ্য রোমেলা।

শিশু রোমেলা বর্তমানে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ১৮ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

রোমেলার পিতা ইয়াজ উদ্দিন জানান, তার পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানের ক্ষত এখনও শুকায়নি। তার মাথার একটি গভীর ক্ষত দিয়ে পুঁজ বের হচ্ছে। পায়ের ব্যাথার কারনে এখনও ঠিকমতো হাঁটতে পারছেনা।

রোমেলার পরিবারের পক্ষে তার চাচা আজিজুল খাঁ’র দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট’র যেকোনো একটিতে সাহায্য পাঠিয়ে রোমেলার পাশে দাঁড়াতে পারেন।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-মো. আজিজুল খাঁ, সঞ্চয়ী হিসাব নং-১৭১৭৫, ইসলামী ব্যাংক, কাশিনাথপুর শাখা, পাবনা এবং মো. আজিজুল খাঁ, সঞ্চয়ী হিসাব নং-৬৪৪৬১, জনতা ব্যাংক, কাশিনাথপুর শাখা, পাবনা।

রোমেলার মা সালেহা খাতুন বলেন, বাবারে আমাগোরে নুন আনতি পান্তা ফুরাই। তার উপর মেয়েডার এই অবস্থা। প্রত্যেক দিন মেয়েডার পেছনে ওষুধসহ সব মিলিয়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ট্যাকা খরচ করত্তি হচ্ছে। আমারা এত ট্যাকা পাবোকোনে। দেশ গ্রামে কত বড় লোক (সমাজের বিত্তবান) আছে হেরা যোদি আমার মায়াডারে একটু সহায্য করতো তাহুলি আমারা মায়াডারে বাঁচাতি পারতাম। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর পাবনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোমেলার চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। রোমেলা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গোটেংরা গ্রামেরদরিদ্র ইয়াজ উদ্দিন ও সালেহা খাতুনের মেয়ে। দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার ছোট রোমেলা।

উল্লেখ্য, রোমেলা কে গৃহকর্মী হিসেবে সীতাকুন্ডুতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে সামান্য ভুল হলেই তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালাতেন সীতাকুন্ডু থারার পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) শাহেদ আলীর স্ত্রী সুইটি খাতুন। নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় রোমেলাকে সারা গায়ে গরম খুন্তির ছ্যাকা দেয়া হয়, মাথায় গরম খুন্তি ঢুকিয়ে এবং শরীরে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করা হতো।

কোরবানী ঈদে এসআই শাহেদ আলী পাবনার বেড়ায় নিজ বাড়ীতে বেড়াতে আসলে গত ৯ নভেম্বর শিশু গৃহকর্মী রোমেলা’র পিতা ইয়াজ উদ্দিন সেখানে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ্য শিশুকন্যা কে বাড়িতে নিয়ে যান এবং পরদিন ১০ নভেম্বর তাকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here