ডেস্ক নিউজ:: লিভার, কিডনি, শ্বাসকষ্ট, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে বিপাকে পড়েছেন। একদিকে করোনা রোগীদের চাপ সামলাতে হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে অন্যদিকে নন-কোভিড জরুরি রোগীরা প্রয়োজনে আইসিইউ ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। আবার চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কিডনি রোগীরা সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন। অনেক রোগীর নির্দিষ্ট সময় পরপর ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় জানা না থাকা করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীর ডায়ালাইসিস করা হলে সেখান থেকে আক্রান্ত হবেন অন্য রোগী ও তার ডায়ালাইসিসে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক, নার্স ও সহকারীরা। এ ধরনের রোগী করোনা আক্রান্ত হলে ঝুঁকিও অনেক বেশি থাকে। ফলে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে হাসপাতালগুলো।
এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, প্রতিদিন ছয়-সাত হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে হাসপাতালে নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আর আগে থেকেই যারা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তারা করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের ঝুঁকি বেশি। করোনা আক্রান্ত হলে রক্ত জমাট বেঁধে হার্টে ও মস্তিষ্কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। এতে স্ট্রোক কিংবা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, কিডনি ও লিভারের রোগীরাও বিপাকে থাকেন। কারণ করোনা সংক্রমিত হওয়ায় শরীরে বিভিন্ন এনজাইম তৈরি হয়। এতে লিভারে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, হেপাটাইটিসও হতে পারে। কিডনিতেও প্রদাহ হয় করোনার কারণে। আগে থেকে শারীরিক জটিলতা থাকলে সমস্যা কিছুটা বেশি হয়। এজন্য বিভিন্ন রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন বেশিরভাগ রোগী।
কিডনি রোগী মাহফুজা বেগমের স্বামী গোলাম মোস্তাফা বলেন, আমার স্ত্রীর দুটি কিডনিই ক্ষতিগ্রস্ত। সপ্তাহে দু’বার তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডায়ালাইসিস করতে হয়। আগে সরকারি হাসপাতালে কম খরচে ডায়ালাইসিস করানো যেত। কিন্তু এখন অধিকাংশ হাসপাতালে করোনা রোগী থাকায় খুব অসুবিধায় পড়েছি।