পিতা
রেহানা বীথি
উত্তুরে হাওয়ায়
একটি পালক পতনের
ফিরিৎ শব্দ এবং শিশির
মনে করিয়ে দেয় আমাদের,
উষ্ণতম দিনগুলো।
অতীতে আমরা মাঝে মাঝে
হরিণের বনে সুগন্ধি ফেরি করতাম,
কাঁটাঝোপে আটকে থাকা
গোলাপি বিকেলের গাল
টিপে বলতাম —
একটু রঙ দেবে?
আব্বাকে দেখিয়ে বলবো –
এ-রঙের একটা জামা চাই!
এখন সুনসান নীরবতা,
মৃত্যুর পথের দিকে এগিয়েছে,
যেসব বাঁক এবং গলি–
পিতার ছবি বুকে নিয়ে
সেসব অলিতে গলিতে
হাঁটবো বলে বার বার ভাবি–
ভাবি, পিতার চটি জোড়া মাথায় নিয়ে
চুপচাপ হাঁটবো,
মনে মনে ডাকবো – আব্বা…
ঘাসেরা জেনে যায় ইচ্ছেগুলো,
ফিসফিস করে বলে –
ধীরে, শব্দহীন হেঁটে যেও
কারও ঘুম যেন ভেঙে না যায়!
ঘাসেরা জানে না –
জীবদ্দশার অতন্দ্র উৎকণ্ঠায়,
পিতা আমার বড় ক্লান্ত–
আমি তাঁর ঘুম ভাঙাতে পারি না
শুধু ডাকতেই পারি, মনে মনে…