ডেস্ক রিপোর্ট::  বিশ্বকাপের ১৮তম ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া ছিল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া শুরুর দুই ম্যাচে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারায় কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল। অন্যদিকে, প্রথম দুই ম্যাচ জিতেও ভারতের কাছে বড় হারের হতাশা চেপে ধরেছিল পাকিস্তানকে। সেসব চাপিয়ে অজি ব্যাটাররা রানবন্যা বইয়ে দেয় ওপেনিংয়ে। সেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। যদিও পরবর্তীতে পাকিস্তানকে হারানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল অ্যাডাম জাম্পারও। তবে রেকর্ডময় সেঞ্চুরিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওয়ার্নার বাগিয়ে নিয়েছেন।

বেঙ্গালোরের এম চিন্নাস্বামীর ব্যাটিং স্বর্গে ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের জোড়া সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লেগ-স্পিনার জাম্পার ৪ শিকারে ৩০৫ রানে থেমে যায় পাকিস্তান।

এদিন বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন ওয়ার্নার ও মার্শ। তাদের ওপেনিং জুটি ভাঙে ২৫৯ রানে। একইসঙ্গে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ এবং যেকোনো জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দু’বার জীবন পাওয়া ওয়ার্নার ১২৪ বলে ৯ ছক্কা ও ১৪ চারে খেলেন ১৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস।

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে পরে ওয়ার্নার বলেন, ‘খেলার সময় কিছুটা ক্র্যাম্প হয়েছিল, সে কারণে কুঁচকি কালশিটে হয়ে গেছে। মার্শের সঙ্গে খেলাটা অসাধারণ। পেসারদের বলের লাইন বুঝে আমরা খেলেছি, চেয়েছিলাম পরবর্তী ব্যাটারদের কাজটা সহজ করে দিতে। নিজের স্কিল কাজে লাগিয়ে ব্যাট করতে পারাটা আনন্দের। আগেরদিন হিট করে খেলার প্রস্তুতি ছিল। যেটি ম্যাচেও ভালো কাজে দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৩৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করা, যাতে প্রথম ইনিংসে বড় একটি স্কোর গড়তে পারি। দলীয়ভাবে কিছু করতে গেলে প্রতিটি রানই গুরুত্বপূর্ণ।’

পাকিস্তানের হারের জন্য কারণও খুঁজে বের করেছেন এই অজি ব্যাটার, ‘স্টয়নিস দারুণ খেলেছে, সঙ্গে কামিন্সও সেট হতে যাওয়া শাকিলকে (সৌদ শাকিল) ফিরিয়েছে দ্রুতই। পাকিস্তান ৩৬ রানেই শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছিল। যা টুর্নামেন্টে নেট রানরেট গণনার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। তবে সম্ভবত বোলিং তাদের আরও বেশি ক্ষতি করবে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরুতে সেভাবে চাপ তৈরি করতে পারেননি শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফরা। তবে শেষদিকে অজিদের লাগাম টেনে ধরেছিলেন শাহিন-রউফ। ৫২ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন শাহিন, রউফের শিকার ৩টি। এছাড়া ব্যাটিংয়ে ওপেনারদের শুরুটা ভালো ছিল। ইমাম-উল-হক ৭০ এবং আব্দুল্লাহ শফিক ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here