মাকসুদুর রহমান কামাল, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহেদুর আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বহাল তবিয়তে রূপগঞ্জ সেচ প্রকল্পের উপসহকারী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ২০০২ সালের নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্প ব্লক-১ এর উপসহকারী পদে জাহেদুল আলম নিয়োগের পর থেকেই এখানে চলছে দুর্ণীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্চারিতা। সেচ প্রকল্পের সম্পত্তি লীজ প্রদান করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সরকারি একোয়ারভুক্ত সম্পত্তি নামজারী করতেও দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা জাহেদুল আলম সহযোগিতা করে থাকেন। আবার কোন কোন মিল মালিকের নামে সরকারী ক্যানেল ভরাট করে রাস্তার স’লে পুরো সম্পত্তিও বন্দোবস্ত করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। সুযোগে মিল মালিকেরা পাকা দেওয়াল নির্মাণ করে তাদের দখলে নিয়েছেন।
গত ৮ ডিসেম্বর ৩৬ লাখ টাকার টেন্ডার ঘোষণা হয়। ওই টেন্ডারের কার্যাদেশ পাওয়ার আগেই অন্যান্য বছরের ন্যায় উপসহকারী প্রকৌশলী জাহেদুল আলম নিজেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বাইরে থেকে মাটি এনে ক্যানেলগুলো পুন: মেরামত করার কথা থাকলেও সেখানে মাটি ফেলা হচ্ছে না। ক্যানেলের দুর্বাঘাস পরিস্কার করেই মাটি ভরাট ও পুন:নির্মাণের কাজ দেখানো হচ্ছে। প্রতিবছরই টেন্ডারে গাইড ওয়াল, স্লোভ তৈরি, ড্রেন আউটলেট প্লাটফর্ম তৈরি ও মেরামত করার কথা রয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টেন্ডারে ঘোষিত কাজের কোথাও ১০ ভাগ কাজ করা হয়নি। লিনা পেপার মিল, এসিআই সল্ট ইন্ডাষ্ট্রিজ, সিকদার সল্ট, অনন্ত পেপার মিল প্রবেশ মুখ করার জন্য পাউবোর সম্পত্তি লীজ নেয়। লীজ পাওয়া পর অনেক প্রতিষ্ঠান রাস্তা নির্মাণের নামে লীজে নেওয়া সম্পত্তিতে পাকা দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। জাহেদুল আলম মাসের ২৫ দিনই থাকেন রূপগঞ্জের বাইরে। তিনি অবৈধভাবে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। জাহেদুল আলমের না-েবেনামে রয়েছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে একাধিক বাড়ি ও ফ্লাট। তার দুর্নীতির কারণে রূপগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শতাধিক বিঘা সম্পত্তি বেদখলে চলে গেছে।
রূপগঞ্জে পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাহেদুল আলম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার পর শহীদ অ্যান্ড ব্রাদার্স পাউবোর কাজ শুরু করা হয়েছে। তাছাড়া সরকারী নিয়মানুসারেই স’ানীয় মিল মালিকরা পাউবোর সম্পত্তি লীজে ব্যবহার করছেন।