রুয়েট: মেকাট্রনিক্স, বর্তমান বিশ্বে এক সুপরিচিত বিষয়ের নাম। মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ও কমিপউটার বিজ্ঞানের সমন্বয়ে এ গড়া এই মেকাট্রনিক্স। রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, কন্ট্রোলিং, মাইক্রো ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম,অপ্টোমেকানিজম ইত্যাদি  বিষয়গুলো উঠে আসে মেকাট্রনিক্স এর মধ্যে।

২০১৩-২০১৪ সেশন থেকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  যাত্রা শুরু হয়েছে মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের। বাংলাদেশে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই প্রথম রুয়েটে মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিএসসি কোর্স। ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে তাদের যাত্রা।

প্রথম ব্যাচ, তাই নিজস্ব বিল্ডিং এখনো তৈরি হয়ে উঠেনি, ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ। তবুও শিক্ষার্থীদের চোখে রয়েছে স্বপ্ন। তাদের লক্ষ্য মেকাট্রনিক্স বিষয়টিকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার। অর্জিত জ্ঞান কে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাবার।

কথা হয় মেকাট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের সাজিদের সাথে। ইন্টারনেটের বদৌলতে আগে থেকেই সে জানতো মেকাট্রনিক্স জিনিস টা কি। তাই তো সুযোগ আসার  সঙ্গে  সঙ্গে বিনা দ্বিধায় ভর্তি হয়ে যায় এই বিষয়ে।

আরেকজন শাওন। ছোট বেলা থেকে প্রিয় জিনিস ছিল রোবট, স্বপ্ন দেখে একসময় তার তৈরি রোবট অবতরণ করবে চাঁদে, জয় করবে মঙ্গল গ্রহ। তাইতো সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পড়াশোনার বিষয় হিসেবে সে বেছে নিয়েছে মেকাট্রনিক্স।

ঐ বিভাগের ছাত্রী তাহরীম জানালেন, “ আসলে ছোট বেলা থেকেই কমিপউটার গেমস, রোবট, কার্টুন এসবের প্রতি অনেক আকর্ষণ ছিল, আবার বড় ভাইয়ার মুখে মেকানিক্যালের কথা শুনে এই বিষয়ের উপর এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করত। তাই এখানে চান্স পাবার পর একধরণের দ্বিধা দ্বন্দ্বেই পড়ে গিয়েছিলাম। দুটো তো একসাথে পড়া যায় না তাই বিকল্প হিসেবে  বেছে নিয়েছি মেকাট্রনিক্সকে”।

রিফাত,মানিজা,সাদমান, রানা মেকাট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। সবাই বেশ গর্বিত মেকাট্রনিক্সের শিক্ষার্থী হিসেবে।

মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর  ড. মোঃ  ইমদাদুল হক। তিনি জানান, “বর্তমান বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে মেকাট্রনিক্সের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতেও বিষয়টি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বহির্বিশ্বে এই সাবজেক্টটির চাহিদা ব্যাপক। উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও আছে প্রচুর। এছাড়া আমাদের এখানে মেকাট্রনিক্স সাবজেক্টটির সিলেবাস এমন ভাবে সাজানো যার ফলে শিক্ষার্থীরা পি এল সি, মাইক্রোকন্ট্রোলিং,  রোবটিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেম  সমপর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। তাই চাকরির বাজারেও তাদের ব্যাপক চাহিদা থাকবে”।

সুদৃঢ় হোক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পথচলা।

জুনায়েদ আহমেদ/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here