বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্রশ্নে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাঁর সংলাপের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
বঙ্গভবনে বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের সংলাপে অংশ নিয়েছিল ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি এবং জাসদ।
বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের পক্ষে দলটির নেতা এইচ এম এরশাদ এবং জাসদ এর হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের জানান তাদের আলোচনা বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে।
বৈঠকে ক্ষমতাসীন জোটের উভয় দলই অনুসন্ধান কমিটি বা মনোনয়ন কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যে কমিটির সদস্যরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক প্রধান হতে পারেন।
এছাড়াও ইতিমধ্যেই সংলাপের জন্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সহ মোট ছয়টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এসব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংলাপ চলবে।
তবে, নির্বাচন কমিশন গঠনের সংলাপে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে এখনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বিএনপিকে আমন্ত্রণের চিঠি পাঠানোর প্রশ্নে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব নেসার উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সংলাপের এক সপ্তাহ আগে আমন্ত্রণ পাঠানো হবে এবং তা আগামী মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন নির্বাচনের ব্যাপারে দলটির অবস্থান পরিস্কার।
”নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোন নিবার্চনে যাবে না।”
তিনি আরো বলেন এই বিষয়টিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা তারা খুঁজে পাচ্ছেন না।
তবে তিনি জানিয়েছেন, চিঠি পাওয়ার পরই বিএনপি নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার সহুল হোসাইনের মেয়াদ ৪ ফেব্রুয়ারি এবং সাখাওয়াত হোসেনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার