মো: মোসলেহ উদ্দিন, বুড়িচং (কুমিল্লা )
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পাইকোটা গ্রামে প্রবেশ পথের রাস্তাটি গত ১৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতের আধারে ট্রাক্টরযোগে মাটি কেটে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা এর প্রাতিবাদে ২০ জানুয়ারী শুক্রবার কাটা রাস্তায় দাড়িয়ে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী।
এলকাবাসীর অভিযোগ ও সরজমিনে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কুমিল্লা বাগড়া সড়ক থেকে পাইকোটা গ্রামের প্রবেশ পথের রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষের চলাচল। উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে যোগাযোগসহ স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। রাজাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, শংকুচাইল উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ, কুমিল্লা-বাগড়া সড়কের সাথে একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি বৃটিশ আমলে তৈরী হয়েছে বলে স্থানীয়া জানায়।
বাংলাদেশ জরিপের সময় বিএস খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নামে খতিয়ান হয় এবং ম্যাপে রাস্তাটি লিপিবদ্ধ হয়। ১৯৯৬ সালে জনসাধারণের চলাচলের জন্য জনস্বার্থে রাস্তাটির উপরে প্রায় ৮ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে একটি কালবার্ড নির্মান করা হয়। গত ১৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতের আধারে রাস্তা কেটে ট্রাক্টরযোগে মাটি নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে রাস্তাটি কাটার ফলে নির্মীত কালভার্টটি অকেজো হয়ে পরেছে। স্থানীয়রা জানান রাস্স্তার পার্শ্বের জমির মালিক পার্শ্ববর্তী দক্ষিন গ্রামের মৃত গেদু মিয়ার পুত্র আবদুল লতিফ ও মৃত দুধু মিয়ার পুত্র মোঃ হারুনুর রশিদ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রাতের আধারে রাস্তাটি কেটে নিয়ে গেছে।
রাস্তাকাটার প্রতিবাদে গতকাল ২০ জানুয়ারী শুক্রবার কাটা রাস্তায় দাড়িয়ে গ্রামবাসী মানববন্ধন করে এবং বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা বিজয়কৃষ্ণ দেবনাথ, বুড়িচং থানা ও রাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বরাবরে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগন ব্যবস্থা নেয়ার আস্বাশ প্রদান করে।
এ ব্যপারে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার গোলাম শহ নেওয়াজ বলেন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন- সাপেক্ষে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।