এই ১৪টি গুনই তোমার রক্তে বহমান
ষ্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২৮ বছর আগে স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক- এই শ্লোগান বুকে ধারণ করে নূর হোসেন, সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটোসহ অসংখ্য মানুষ জীবন উৎসর্গ করলেও আজও প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ দেশবাসী পায়নি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এক দিকে সরকার স্বৈরাচারকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের তকমা হাজির করে সীমিত গণতন্ত্রের কথা বলছে। অন্যদিকে ৭১-এর ঘাতক চরম ফ্যাসিস্ট জামাতকে সাথে নিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের বুলি আউড়াচ্ছে। রাজাকার আর স্বৈরাচারকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না।

নেতৃবৃন্দ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘গুমট আবহাওয়া’ উল্লেখ করে এর থেকে মুক্তি পেয়ে নূর হোসেন, টিটোদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহের বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে আজ ১০ নভেম্বর, সকালে রাজধানীর নূর হোসেন স্কয়ারে ও পরে মুক্তিভবনের সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটোর প্রতিকৃতিতে সিপিবি’র পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি নেতা আহসান হাবিব লাবলু, রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক ছাত্রনেতা মানবেন্দ্র দেব, যুবনেতা হাফিজ আদনান রিয়াদ, ছাত্রনেতা লাকী আক্তার প্রমুখ।

অপরদিকে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটোর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ টিটোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির নেতৃবৃন্দ।

সকালে পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনে সিপিবি কার্যালয়ে শহীদ টিটোর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের সময় উপসি’ত ছিলেন ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি অ্যাড. সোহেল আহম্মেদ,  সহ-সভাপতি সৈয়দ আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার।

উল্লেখ্য, ক্ষেতমজুর সমিতির নেতা শহীদ আমিনুল হুদা টিটো ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে ঢাকা অবরোধের প্রাক্কালে পল্টন মোড়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। শহীদ টিটো কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে ঢাকায় এসেছিলেন এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here