সরকারি হাসপাতালগুলোতে এইচআইভি পরীক্ষা ও এইডস আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার রাজশাহীর একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ইউএনএইডস ও দৈনিক ভোরের কাগজ আয়োজিত মিডিয়া অ্যাডভোকেসি অনুষ্ঠান থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, এইডস বিস্তারের অন্যতম ফ্যাক্টরগুলো হলো- অশিক্ষা, কুশিক্ষা আর দারিদ্র্য। এসবই রয়েছে বাংলাদেশে। এ কারণে বাংলাদেশে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত অনেক কম হলেও দেশ ভয়াবহ ঝূঁকির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে এইচআইভি পরীক্ষা করার কোনো আলাদা সেল নেই। ফলে অনেকে পরীক্ষা করতে সংকোচবোধ করেন। অনুষ্ঠান থেকে প্রত্যেক হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষার জন্য আলাদা সেল খোলার দাবি জানানো হয়।
এতে আরো বলা হয়, আমাদের দেশে কিছু সামাজিক ও ধর্মীয় কু-সংস্কার রয়েছে। এসব কুসংস্কার ও গোঁড়ামী এইচআইভ এইডস এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতা। আর সচেতনতা তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে গণমাধ্যম। বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত রিসোর্স পারসনরা।
তারা আরো বলেন, গণমাধ্যমের উচিৎ এইচআইভি এইডস সম্পর্কে মানুষের মাঝে স্বচ্ছ ধারণা তুলে ধরা। কোনো বিষয়কে স্টিগমাটাইসড করা গণমাধ্যমের ঠিক হবে না। গণমাধ্যমে এমন কিছু প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না যা এইচআইভি প্রতিরোধ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করে কিংবা এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিকে সমাজে হেয় করে তোলে। কেননা অন্যান্য স্বাভাবিক মানুষদের মতোই এইচআইভি পজিটিভদেরও বাঁচার অধিকার রয়েছে।
অনুষ্ঠান থেকে এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা ‘গেটিং জিরো’ বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এইচআইভি/এইডস ইস্যুতে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও রিপোর্টিংয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ইউএনএইডস এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনীর আহমেদ। এছাড়া রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল আলম ফটিক ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মাহাতাব চৌধুরী এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ আকবর হোসেন/রাজশাহী