ঢাকা: রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের পাশে পদ্মা সিনেমাহলের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় বাসচাপায় রিকশা আরোহী হাবিবুর রহমান (৩৫) নিহত হয়েছেন।
এছাড়া দুই বাসযাত্রী, দুই পথচারী ও বাসের হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন।
তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী মাহমুদ হাসান জানান, বাস লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত ককেটলটি বিস্ফোরিত হলে চালক ভয় পেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং আইল্যান্ডে উঠে গিয়ে বাসটি থেমে গেলে তাতে আগুন ধরে যায়।
এসময় রাস্তায় একটি হাত বিচ্ছিন্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখে তিনি তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। গুরুতর আহত এ ব্যক্তির নাম অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া (৪৫)।
পাশেই আরেকজন মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মাহমুদ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত এ ব্যক্তি রিকশা আরোহী হাবিবুর রহমান (৩৫)। সবুজবাগের মাদারটেক গাজীভবনে তিনি থাকেন বলে জানা গেছে।
অগ্নিদগ্ধ বাসের দুই যাত্রী রেজাউল (৪০) ও এহসানুল হাসানকে (২৮) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
রাত ৯টার দিকে ওই বাসের হেলপার মনির হোসেনকে (২৮) আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
তবে চালকের খবর জানা যায়নি। রেজাউল একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন আর এহসানুল রেডিমেড পোশাকের দোকানের কর্মচারী।
রমনা ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, যাত্রীবাহী বাস লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি আরোহী সমেত রিকশাকে ধাক্কা দেয় এবং আইল্যান্ডে উঠে যায়।
ওই রিকশার আরোহী হাবিবুর রহমান ছিটকে পড়ে যান। এসময় দুই পথচারী অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া ও মহিউদ্দিনকে (৪৫) চাপা দেয় বাসটি। এতে কিবরিয়ার বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আর মহিউদ্দিন পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপাসিন্ধু বালা দুর্ঘটনার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। আহত দুজনকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকে টানা ৭২ ঘণ্টার দ্বিতীয় দফার অবরোধ চলছে। এর আগে ৭১ ঘণ্টার অবরোধের তৃতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে একটি বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় ১৯ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন।