পুলিশি বাধাঁ উপেক্ষা করে রাঙামাটি শহরে কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল করেছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। প্রায় হাজার খানেক লোকের সমন্বয়ে রোববার সকাল ১১টায় রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গেলে পুলিশী বাধায় পড়ে। এসময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদারসহ পাচঁজন আহত হয়। পরে পুলিশ বেস্টনীর মধ্যে বিএনপিসহ সমমনা দল গুলোর নেতা-কর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

পৌরসভা চত্বরের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদকব মোঃ শাহ আলম, জেলা জামায়াত আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম, এলডিপির সভাপতি আশাপূর্ণ চাকমা। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, হাসিনা সরকার তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে একতরফা নির্বাচনের নীল নকশা করছে। তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। নেতৃবৃন্দ সরকার পুলিশ দিয়ে বিএনপি’র গনতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করে বলেন, এর পরিনাম কখনো ভালো হবে না। নেতৃবৃন্দ তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূণর্বহাল করে সুষ্ঠু ও নিরক্ষেপ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সরকার আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না। তাদের অন্যায় অবিচারে জনগন হাফিয়ে উঠেছে। ষড়যন্ত্র করে বিএনপি’র নেতৃত্বে গণ আন্দোলনের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে এ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, অতীতেও কোনো সরকার গনতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দিয়ে ঠিকে থাকতে পারেনি। এ সরকারও পারবে না বলেও হুশিয়ারী দেন নেতৃবৃন্দ।

এর আগে পৌর টার্মিনাল থেকে পুলিশী প্রহরায় একটি খন্ড মিছিল করে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা পৌরসভা প্রাঙ্গনে এসে জড়ো হয়। সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পুলিশ কড়া প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সমাবেশ চলাকালে পুলিশ পৌরসভা তোরণের সামনে প্রাচীর গড়ে তোলে।

অন্যদিকে টিবি ক্লিনিক ও কৃষি অফিসের রাস্তায়ও পুলিশ অবস্থান নেয়। একরকম ঘেরাও অবস্থায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ সমাবেশ করে। পরে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়। কিন্তু পুলিশী বাধায় উপেক্ষা করে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ব্যানার ছাড়াই পৌরসভা চত্বর থেকে মিছিল বের করে এবং কিছু দুর গিয়ে মিছিলটি কাকলী সিনেমা হল অতিক্রম করে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে মিছিলকে আর যেতে দেয়নি পুলিশ। এসময় পুলিশী বাধার মুখে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেয় এবং পুলিশের সাথে নেতা-কর্মীদের বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে চাইলে হঠাৎ পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মমতাজ মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদা ও থানা ছাত্রদল নেতা ভূট্টো গুরুতর আহত হয়।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আলমগীর মানিক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here