সোহানুর রহমান ::
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় যুবদের নেতৃত্বে অভিযোজন উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা ও স্থানীয় নেতারা। মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অ্যানেক্স হলরুমে ‘লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (লজিক) প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত যুব গ্রুপ গঠন সভায় তারা এই আহ্বান জানান। বক্তারা জলাশয় রক্ষা এবং ক্ষতিকারক সেগুন গাছের বদলে টেকসই বাঁশ চাষের প্রসারে যুবদের নেতৃত্বে উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন।
রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১২০ জন যুব নেতা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর আগে স্থানীয় যুবদের উদ্যোগে একটি জলবায়ু শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যা শিলপকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে জেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান। এছাড়া লজিক প্রকল্পের মনিটরিং স্পেশালিস্ট টি.এম. সেলিম, জেলা জলবায়ু পরিবর্তন সমন্বয়ক আমেনা ইয়াসমিন, যুব এনগেজমেন্ট কোঅর্ডিনেটর শাকিলা ইসলাম, ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান  এবং চট্টগ্রাম জেলা কোঅর্ডিনেটর পপি আক্তার তাদের বক্তব্যে যুবদের জলবায়ু অভিযোজন প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কৃষিবিদ কাজল তালুকদার তার বক্তব্যে বলেন, “অনিয়ন্ত্রিত সেগুন গাছের বাগান এবং বাঁশঝাড় ধ্বংসের ফলে সুম্বলং ঝরনা সহ পাহাড়ি অঞ্চলের ঝিরি-ঝরনা শুকিয়ে যাচ্ছে, যা জলাশয়ের সরবরাহ এবং স্থানীয় বাস্তুসংস্থানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “এক্ষেত্রে বাঁশ চাষের প্রচলন জরুরি, কারণ বাঁশ শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, এটি স্থানীয় অর্থনীতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, “যুবদের নেতৃত্বে জলবায়ু অভিযোজন কৌশলগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে।” তিনি স্থানীয় সরকারকে যুবদের জলবায়ু কর্মকাণ্ডে প্রশিক্ষণ ও সম্পদ সরবরাহের আহ্বান জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here