পার্বত্যাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার সূযোগ সৃষ্টি করতে অচিরেই রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনার কাজ শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণ ও আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি পার্বত্যবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাও পূরন হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষামন্ত্রী বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বিরাট সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখান কাউকে বৈষম্যের শিকার হতে দেওয়া হবেনা, দেশের সংবিধান অনুসারে এ অঞ্চলে বসবাসরত প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ পাবে।
সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এম.পি, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মূছা মাতব্বর, রাঙামাটি পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম ভূট্টো, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ পরিচালক আজিজ উদ্দিন, শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈন উদ্দিন মিন্টু বক্তব্য রাখেন। অনুষ্টানে উপস্থাপনা করেন রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুনীল কান্তি দে ও কিডস এক্সপ্লোরার স্কুলের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের।
এর আগে শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অংশগ্রহনে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় র্যালীটি রাঙামাটি শহরের উন্নয়ন বোর্ড এলাকা থেকে শুরু হয়ে শাহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। মনমুগ্ধকর বর্ণাঢ্য র্যালীতে ঐতিহ্যবাহী সাজানো ঘোড়ার গাড়ি ছিল শহরবাসীর কাছে অধিক আর্কষনীয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আলমগীর মানিক/রাঙ্গামাটি