রাঙামাটিতে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব যিশুখ্রিষ্টের মহাজন্মোৎসব শুভ বড়দিন ধর্মীয় ভাবগাম্ভিয্যের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে। গতকাল ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টা বিভিন্ন গির্জাগুলোতে প্রার্থনার মধ্যদিয়ে বড় দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গির্জাগুলোতে চলে প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ ও খ্রিস্টযোগ।

বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটির বিভিন্ন গির্জার ভেতর ও বাইরে তৈরি করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো যিশুর জন্মের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ‘গোশালা’। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, ২ হাজার ১০ বছর আগে এ দিনে বর্তমান ফিলিস্তিনের বেথেলহেম শহরের এক গোশালায় মা মেরির গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছিলেন ঈশ্বরপুত্র যিশুখ্রিস্ট।

এদিকে বড়দিন উপলে রাঙ্গামাটির গির্জাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে ‘ক্রিসমাস ট্রি’, রঙিন বল, জরিতে সাজানো হয়েছে এবং আলোকসজ্জিত করা হয়েছে। পুরো এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। অনেক এলাকায় আয়োজন করা হয়েছে প্রীতিভোজের। বড়দিন উপলে গির্জা ও খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত আবাসিক এলাকায় আইন শৃঙ্খলা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে বড়দিন উপলক্ষে জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী উপজাতীয় গ্রামগুলোতে লাল নীল বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। খ্রীষ্ট সমপ্রদায়ভুক্ত বম, ত্রিপুরা, খিয়াং, খুমি, ম্রো এবং অহমিয়া (আসাম) সমপ্রদায়ের লোকজন একই সাথে বড়দিন উৎসব পালন করে। খ্রিস্ট ধর্মমতে, ঈশ্বরের আশীর্বাদরূপে যিশুর আগমন ঘটে মানবতার কল্যাণে মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে মুখ দেখাতে। সে সঙ্গে তিনি এসেছিলেন মানবত্রাতা ও শান্তিরাজরূপে।

এদিকে, বাঘাইছড়িতে উপজেলার দূর্গম সাজেক ইউনিয়নে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্যে দিয়ে শুভ বড়দিন পালিত হয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সাজেক ইউনিয়নের উজানছড়ি, বেটলিং, কংলংক, রুইলুই, উল্ডলংকর, এই ৫টি গীর্জায় সকাল ৯টা থেকে ১২ পর্যন্ত বাইবেল পাঠ করে শুভ বড়দিনের সূচনা করা হয়। এরপর দিনব্যাপী খ্রিষ্টানধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালিত করা হয়। প্রেসবেটারিয়াং সার্জ অব বাংলাদেশ, লুইরুই গীর্জায় জাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফাষ্টর জাকারিয়া জুয়েলা।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আলমগীর মানিক/রাঙ্গামাটি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here