রনির শারীরিক অবস্থার উন্নতি, আরও ৩ সপ্তাহ থাকতে হবে হাসপাতালে

ডেস্ক রিপোর্টঃঃ  কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। গতকালের (সোমবার) তুলনায় আজ তার অবস্থা আরও ভালো। খাচ্ছেন স্বাভাবিক খাবার। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরতে আরও কমপক্ষে তিন সপ্তাহ চিকিৎসকদের নিবিড় পরিচর্যায় থাকতে হবে তাদের।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুরের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। বার্নের কারণে যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা থেকে আজ উন্নতির দিকে আছে। আশা করি, দ্রুতই আরও উন্নতি ঘটবে। অবস্থা গতকালের (সোমবার) চেয়ে ভালো। চিকিৎসক-নার্সরা সার্বক্ষণিক তাদের পরিচর্যা, মনিটরিং করছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর আজই প্রথম ড্রেসিং চেঞ্জ করা হয়েছে। শ্বাসনালীর কোনো সমস্যা না হওয়ায় তারা স্বাভাবিক খাবারও খেতে পারছে, কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

কবে বাসায় ফিরতে পারবে রনি— জানতে চাইলে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আস্তে আস্তে তারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে। তাও আরও তিন-চার সপ্তাহ থাকতে হবে হাসপাতালে।

গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জিএমপির চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে মঞ্চের পূর্ব পাশে ছোট উদ্বোধন মঞ্চে ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন নেওয়া হয়। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও সেগুলো ওড়েনি। পরে পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যান। সেখানে গিয়ে কেক কাটেন এবং বক্তব্য পর্বে অংশ নেন।

অন্যদিকে বেলুনগুলো নেওয়া হয় উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে। কিছুক্ষণ পরই সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে সবগুলো বেলুনই বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আহতরা নিচে লুটিয়ে পড়েন। সহকর্মীরা দ্রুত আহতদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখান থেকে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দগ্ধ পাঁচ জনকে আনা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

তাদের মধ্যে ছিলেন কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন, পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন। এদের মধ্যে মোশারফ হোসেন ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বেলুন বিস্ফোরণে আবু হেনা রনির দেহের ২৫ শতাংশ এবং কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের দেহের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তারা এখনো শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here