গাইবান্ধা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প মহিমাগঞ্জেস্থ রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা ও পরিকল্পনার অভাবে মাড়াই মৌসুমে পৌনে ৮ ঘন্টার মধ্যেই আখের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে আখ মাড়াই। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৫ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে আখ মাড়াই শুরু হলেও রাত ২ টায় আখের অভাবে মিলটির মাড়াই বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এক নাগারে ১৫ দিন চলার পর মেইনটেনেন্সের জন্য মিল বন্ধ হওয়ার নিয়ম। আখচাষী এবং এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন, কমপক্ষে দুইদিন চলানোর জন্য প্রয়োজনীয় আখ মিলের ইয়ার্ডে জমা করে তারপর মাড়াই কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও অপরিকল্পিভাবে সামান্য কয়েক গাড়ী আখ নিয়ে চলতি মাড়াই মৌসুম শুরু করে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানায় কেবল মাত্র ২৪ ঘন্টা চালানোর জন্য ১২৫০ মেট্রিক টন আখের প্রয়োজন। অথচ রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাত্র ৪১৭ মেট্রিক টন আখ নিয়ে মাড়াই শুরু করে। ৫টা থেকে বিবামহীন ভাবে মিল চালিয়ে রাত ২টা পর্যন্ত ৩৩৭ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করা হয়। মাত্র ৮০ মেট্রিক টন আখ রেখে এ সময় মাড়াই বন্ধ করতে হয় কারখানা কর্তৃপক্ষকে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত (রোববার দপুর ১.৩৫ মিঃ) মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়নি বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে রংপুর চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) অলিক সোম বলেন, চাষীরা পরিবহণ সংকটের কারণে সময়মত মিলে এবং আখ ক্রয়কেন্দ্রে আখ সরবরাহ করতে না পারায় নো-ক্যান (আখশুন্যতা) এর সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চিনিকলের মাড়াই শুরুর পর এভাবে মাড়াই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুল অংকের লোকসানের বোঝা মাথায় চাপলো বলে আশাংকা করছেন সচেতন মহল।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা