রংপুরের মিঠাপুকুরে নারী শিশু নির্যাতন মামলার পলাতক আসামীকে পুলিশের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে আসামির আত্মীয়-স্বজন। এ সময় তারা পিটিয়ে ২ পুলিশকে আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে মিঠাপুকুরের প্রত্যান্ত ভাংনী ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি (জগৎপুর) গ্রামে।
এদিকে ঘটনার এক দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশের নিকট থেকে আসামী ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।
মামলার বাদী ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকবাসীর অভিযোগে জানা যায়, পুলিশ বিষয়টি ধামচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মামলার বাদী জাহানারা বেগম জানান, ঘটনার দিন দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের মামলা নং নারী ২৪৪ ও জি,আর ১২৪ মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা ভূক্ত আসামী মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি (জগৎপুর) এলাকার রুহুল আমীন এর ছেলে রাজু মিয়াকে মিঠাপুকুর থানার এস,আই নুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ পার্শ্ববর্তি ঘাঘট নদীর পাড় থেকে গ্রেফতার করে। পরে ওই এস,আই’র সঙ্গীয় ফোর্স কনষ্টেবল মিজু আসামী রাজুকে হ্যান্ডক্যাপ না পরিয়ে নিয়ে আসতে থাকলে ধৃত আসামী রাজুর চাচা রফিক মেম্বার, আঃ লতিফ, ভাই তাজুল, সাজুসহ প্রায় ১৫/২০ জন পুলিশের নিকট থেকে আসামী রাজুকে ছিনিয়ে নেয় এবং পুলিশকে মারপিট করে জখম করে। মামলার বাদী অভিযোগ করে জানান, এস,আই আসামি পক্ষের নিকট বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে কৌশলে আসামিকে ছেড়ে দিযেছে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী মকবুল, কাশেম, করিম মিয়া জানান, পুলিশ আসামী রাজুকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসতে দেখেছে এবং আসামী ছিনিয়ে নেয়ার সময় পুলিশ তেমন কোন ভূমিকা রাখেনি। তারা আরো জানান, ওই পুলিশ অফিসার পর্যাপ্ত ফোর্স নিয়ে না আসার কারনে আসামীর লোকজন পুলিশের নিকট থেকে আসামীকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তার জানান, পুলিশ এলাকাবাসীর নিকট থেকে কোন সহযোগীতা চাননি। তারা মনে করেন পুলিশ হয়তো আসামির নিকট থেকে টাকা নিয়ে কৌশলে ছেড়ে দিযেছে।
এ ব্যাপারে রংপুরের এ,এস,পি (বি-সার্কেল) শহীদুলাহ কায়সার ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম’কে জানান, তিনি মিঠাপুকুর থানা পুলিশের কাছে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাটি শুনেছেন তবে ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত না করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তিনি জানান, যদি ঘটনাটি সত্যি হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিঠাপুকুর থানার ওসি আরমান হোসেন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন, তবে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত তাকে কিছু জানাননি এবং তাকে তার মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান। অপরদিকে, মিঠাপুকুর থানার এস,আই নুরুল ইসলামকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/জহুরুল ইসলাম জহির/রংপুর