
গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি ::
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে লাফিয়ে লাফিয়ে গমসহ ৩ পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে গম, ভুট্টা ও ভুষির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৮ টাকা। বিষয়টি স্বীকার করে আমদানিকারকেরা বলছেন, আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন মোকাম ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
বগুড়া থেকে হিলি বন্দরে গমের ভুষি কিনতে এসেছেন মো. আপেল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘গেলো সপ্তাহে প্রতি কেজি গমের ভুষি প্রকারভেদে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম। আর আজ প্রতিকেজি কিনলাম ৪৬ টাকায়।’
সিরাজগঞ্জ থেকে ভুট্টা কিনতে এসেছেন আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আমি হিলিবন্দর থেকে ভুট্টা কিনে বিভিন্ন মোকামে বিক্রি করি। কিন্তু হঠাৎ করেই ভুট্টার দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা। গেলো সপ্তাহে (২৫ অক্টোবর) প্রতি কেজি ভুট্টা কিনেছিলাম ৩৪ টাকা কেজি দরে। আর আজ কিনলাম ৩৮ টাকায়। এভাবে প্রতিদিনই দাম বাড়ছে।’
দিনাজপুর থেকে গম কিনতে এসেছেন মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘গমের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। গেলো সপ্তাহে প্রতি কেজি গম কিনেছি ৪৬ টাকা দরে। সেই গম আজ বিক্রি হচ্ছে ৫১ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে।’
সি অ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক মেসার্স জয়নাল আবেদীনের প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা প্রতিকেজি গমের ভুষি ৪৬ টাকা কেজি দরে ও ভুট্টা ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
আমদানিকারক মো. রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘চলতি বছরের ১২ মে হঠাৎ করে বাংলাদেশে গম রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধ আছে। আমদানিকারকেরা আগের আমদানি করা গমই বিক্রি করছেন। এদিকে ব্যাংকগুলো এলসি সীমিত করায় ভারত থেকে গমের ভুষি ও ভুট্টা আমদানিও কমে গেছে।’

ন্যাশনাল ব্যাংক হিলি শাখার ম্যানেজার মো. আবুল কালাম বলেন, ‘অফিসিয়ালি এলসি সীমিত করার কোনো নির্দেশ নেই। তবে, ডলার সংকটের কারণে আগের চেয়ে এলসি অনেকটা কমে গেছে।’
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৩১ অক্টোবর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৫টি ভারতীয় ট্রাকে ৩৪২ মেট্রিক টন গমের ভুষি ও ৬ ট্রাকে ২৪২ মেট্রিক টন ভুট্টা আমদানি করা হয়েছে।