ডেস্ক রিপোর্টঃঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি শেখ কামাল যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন। সেই উপলক্ষে আজ গেমসের মশাল প্রজ্বলন হয়েছে। সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল থেকে এই মশাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্বলন করেন বিওএর সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। সেখান থেকে দেশের শীর্ষ দশ ক্রীড়াবিদ পাঁচটি স্থানে হাতবদল করে মশাল নিয়ে পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত নিয়ে আসেন।
সাবেক টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মোস্তফা বিল্লাহ ও জাতীয় শ্যুটার নাফিসা তাবাচ্ছুম মশাল নিয়ে প্রবেশ করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ)। সেনাবাহিনীর সুসজ্জিত পিকআপ থেকে নেমে সেই মশাল তারা তুলে দেন সুসজ্জিত মঞ্চে দাঁড়ানো বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার হাতে। এসময় বিওএর উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, কোষাধ্যক্ষ একে সরকার সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। মিনিট দশেক পর ফের মহাসচিব সেই মশাল তুলে দেন কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া রুপা জয়ী শ্যুটার আবদুল্লাহেল বাকী ও জাতীয় নারী কাবাডি খেলোয়াড় রুপালী আক্তারের হাতে। তারা মশাল নিয়ে যান শেখ কামালের হাতে গড়া ধানমন্ডিস্থ আবাহনী ক্লাবের মাঠে।
বিওএ’র তিন সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ, কাজী নাবিল আহমেদ ও অঞ্জন চৌধুরি পিন্টু আবাহনী মাঠে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে মশাল প্রদক্ষিণ শেষে জাতীয় জিমন্যাস্ট আবু সাঈদ রাফি ও দাবাড়ু তনিমা পারভীন নিয়ে যান ঢাকা সেনানিবাসে। রোববার সেনানিবাস থেকে মশাল নিয়ে গেমসের চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী স্থান আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাবেন জাতীয় পুরস্কার পাওয়া সাবেক সাইক্লিস্ট ফারহানা সুলতানা ও ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া সাঁতারু সেলিম মিয়া।
২৪ ডিসিপ্লিননে দেশের আট বিভাগের চার হাজার ক্রীড়াবিদ ১৯৩টি সোনার পদকের জন্য লড়বে। এছাড়াও রুপা থাকছে ১৯৩টি ও ব্রোঞ্জ ২৮৭টি।