বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক থেকে :: নিউ ইয়র্ক নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসন সিটি নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল নিয়ে বাংলাদেশি দুই প্রার্থীর আইনি লড়াই শেষ হয়েছে। টানা ১১ মাস ধরে আদালতে চলা এ মামলায় নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করার মত প্রতিপক্ষের অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ার ৩১ জুলাই মাননীয় বিচারক আর্নেস্ট ক্যাপসেলা শাহীন খালিকে বিজয়ী ঘোষনা করেছেন।
নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে বাংলাদেশি কাউন্সিলম্যান প্রার্থী আকতারুজ্জামান তার প্রতিদ্বন্দ্বির বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
২০১৬ সালের ১৭ মে প্যাটারসন শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করা হয়। এ আসনে জয়ী হন আরেক বাংলাদেশি শাহীন খালিক। এ নির্বাচনে ১৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আকতারুজ্জামান। ফলাফলে খালিক পেয়েছেন ১৪০০ ভোট ও আকতারুজ্জামান পেয়েছেন ১৩৮১ ভোট। ডাকযোগে প্রাপ্ত ভোট নিয়ে খালিক কেলেংকারি করেছেন বলে ঐ আসনের অপর প্রার্থী আখতারুজ্জামান অভিযোগ করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনার পর আদালতের শরনাপন্ন হন এ আসনের কাউন্সিলম্যান আকতারুজ্জামান ।তিনি লড়ছিলেন পুনরায় জয়ী হবার জন্যে। গত বছরের ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে বিচারের শুনানি শুরু হয়। টানা ১১ মাস ধরে চলা এ মামলায় প্রায় ২০০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ডাকযোগে প্রাপ্ত ভোটের বিরুদ্ধে। তার পরিমাণ ১হাজার ৯টি। সকল ভোট যথাযথভাবে গণনা করা হয়েছে কিনা এবং প্যাসেইক কাউন্টি নির্বাচনী কর্মকর্তরা ভোট গণনার ফলাফল সঠিকভাবে উপস্থাপন না করার অভিযোগে আকতারুজ্জামানের পক্ষে এ মামলা দায়ের করেন এটর্নী সুজান চ্যাম্পিয়ন।
আদালত কর্তৃক প্যাটারসন সিটি কাউন্সিলের ২নং ওয়ার্ড নিবাচনী ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় কাউন্সিলম্যান শাহিন খালিক বলেন, আজ থেকে আমি মুক্তি পেলাম। সব সময় আদালত ও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। আমি জানতাম যে একদিন এই আদলতেই মামলর বাদী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামানের সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন হিসাবে প্রমাণিত হবে। প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। সত্যকে খুঁজে বের করে আনার জন্য বিচারকে ধন্যবাদ।
অপর দিকে রায় ঘোষনার পর আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান আদালতের রায়ে দ্বিমত পোষণ করে বলেন আমি প্রমাণ করেছি যে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ঘটেছে, কিন্তু আ্দালত সেটা আমলে না নিয়ে কাউন্সিলম্যান হিসাবে শাহীন খালিককে বিজয়ী ঘোষনা করেছেন তা অত্যান্ত দুঃখজনক।
এ সময় তিনি বিচারের শুনানিকালীন সময়ে নিউ জার্সি স্টেটের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যালান স্টিফেনস ভোট জালিয়াতি নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি আরও বলেন এই মামলায় তার প্রায় ১ লাখ ডলার খরচ হয়েছে।