সিরাজুল ইসলাম, যশোর

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর সদর সার্কেলের এক কর্মকর্তা গাজাঁ বিক্রেতা রজব আলী ওরফে খোড়া রজব আলীর কাছ থেকে মাসে ১৫শ’ টাকা নেয়ার পরও তাকে আটক হওয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কর্মকান্ড ফাঁস হয়ে পড়েছে।

সুত্র মতে প্রকাশ, ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর যশোর উপ-অঞ্চলের তত্বাবধায়ক শরিয়তুল্লাহ, পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ, উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী, র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অফিসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর সদর সার্কেলের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্য এবং র‌্যাবের সদস্যরা যশোর সদর উপজেলা রামনগর পুকুর কুল এলাকার মৃত জিন্দার খাঁর পুত্র রজব আলীর বাড়িতে অভিযান চালায়।

এ সময় রজব আলীকে ৮ শ’ গ্রাম গাঁজা সহ আটক করে। রজব আলী আটক হবার পর র‌্যাবের সামনে উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলীকে বলেন চলতি মাসের ৫ তারিখে তার চুক্তিকৃত ১৫ শ’ টাকা কালেক্টরেট মার্কেটের মধ্যে নাছিরের খাবার হোটেলের মালিকের কাছে দেয়া হয়েছে। প্রতিমাসে মোহাম্মদ আলীর মাসিক টাকা উক্ত হোটেল মালিকের কাছে দেয়া নির্দেশ থাকায় সেই ভাবে দেয়া হয়।

তারপরও তাকে আটকের বিষয় সে র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সামনে মোহাম্মদ আলীর সাথে তার চুক্তির বিষয়টি ফাঁস করে দেয়। বিষয়টি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর উপ-অঞ্চলের নবাগত উপ-পরিচালক মাসুদ হোসেন যাতে জানতে না পারে সে জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সদর সার্কেলে না নিয়ে গিয়ে সোজা কোতয়ালী থানায় রজব আলীকে রেখে গাঁজা নিয়ে অফিসে যায়।

মোহাম্মদ আলীর চুক্তির বিষয়টির ব্যাপারে প্রতিবেদক নবাগত উপ-পরিচালক মাসুদ হোসেনের জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগ করলে তিনি ব্যবস’া গ্রহন করবেন। মাদক ব্যবসায়ী চুক্তি করে ব্যবসা করে সেই ক্ষেত্রে তিনি অভিযোগ করার বিষয়টি হাস্য ছাড়া আর কি হতে পারে।

অপর দিকে সকালের দিকে খোলাডাঙ্গা সুইপার পট্টিতে অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ ও জাওয়া উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে পৃথক দু’িট মামলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here