যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার সহ বহুবিধ অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের শেষের দিকে যশোর পৌরসভার কর্মচারীকে মারপিটের ঘটনায় অন্যান্যদের সাথে তাকে বদলী করা হলেও সে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সে কোন খুঁটির জোরে বহাল তবিয়তে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে ?
কারাগারের নির্ভরযোগ্য সুত্রে প্রকাশ, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত কারারক্ষী আবুল বাশার দীর্ঘ ৪ বছর যাবত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে চাকুরী করার সুবাধে জেলর মাসুদ পারভেজ মঈনকে কৌশলে আপন করে নেয়। জেলর মাসুদ পারভেজ মঈন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে যোগদান করার কিছুদিন পরে আসত্মাভাজন হয়ে ওঠে আবুল বাশার। জেলর আবুল বাশারকে তার অফিস ও বাড়ীর অর্ডালী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। জেলর এর সকল চাহিদা মেটাতে আবুল বাশার সক্ষম হয়ে ওঠে। সুত্রটি জানিয়েছেন, আবুল বাশার জেলর এর অর্ডালী হওয়ার বদৌলতে অফিস কল থেকে শুরু করে ভিতরে যারা যেখানে দায়িত্ব পালন করছেন তাদেরকে তোয়াক্কা না করে মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করছেন। উপার্জিত অর্থ জেলরকে দিয়ে দিনদিন সে অনেক আসত্মাভাজন হয়ে ওঠে। সুত্রটি বলেছে, আবুল বাশার নিজেকে জেলর এর অর্ডালী দাবী করে কারাগারে দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে হরহামেশায়। অন্যান্য কারারক্ষীদের ভয় ভীতি দেখিয়ে বহাল তবিয়তে চাকুর করে যাচ্ছে। সুত্রটি জানিয়েছেন , বাশার কারা গারের সকল নিয়মকে উপেক্ষা করে অবাধে অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছে। বন্দী আসামীদের বিভিন্ন সুবিধা স্থানে দেয়া থেকে শুরু করে কারাগারের অভ্যনত্মরে ও বাইরের ক্যান্টিনে ম্যানেজার নিয়োগ পর্যনত্ম টাকা নিয়ে থাকে জেলর মাসুদ পারভেজ মঈনের ন্যায় সে ও। শুধু তাই নয় প্রতিমাসে জেলর এর নাম ভাঙ্গিয়ে ভিতরের বিভিন্ন বন্দী ও কারারক্ষীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। কারাগারের ক্যান্টিনে যারা ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন তাদেরকে জেলর মাসুদ পারভেজ মঈনকে একটি অংশ দিলেও বাশারকে দিতে হয় মাসে ৫ হাজার টাকা। টাকা না দিলে জেলরকে দিয়ে ক্যান্টিনের ম্যানেজার থেকে বাদ দেয়া হয়। এছাড়া, আবুল বাশার গত বছরের ৫ নভেম্বর যশোর পৌর সভার কর্মচারী মনিরুল ইসলামকে পারপিটের কারনে অন্যান্যদের ন্যায় তাকে খুলনা জেলায় বদলীর আদেশ দেয়া হলেও আবুল বাশারকে এক অদৃশ্যর কারনে এখান থেকে বদলী দেয়া হয়নি। এমনকি তাকে ছাড়া হয়নি । যার ফলে এখন আবুল বাশারের কর্মকান্ড আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিমাসে আবুল বাশার কারাগারের অভ্যনত্মরে বিভিন্ন বন্দী আসামীদের কামপাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পন্থায় হাজার টাকা উপার্জন করে থাকে। কেউ তার কর্মকান্ডে প্রতিবাদ জানালে জেলরকে দিয়ে তাকে শায়েসত্মা করা হয়ে থাকে। জেলর এর ভয়ে কেউ টু শব্দ করতে সাহস পায় না। সুত্রটি আরো জানিয়েছেন, বন্দী আসামীদের কাছ থেকে ও তাদের আত্মীয় স্বজনদেন নিকট হতে আবুল বাশার বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়। গত ডিসেম্বর মাসে জনস্বার্থে বদলী করা হলেও সে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে এখানে থেকে আগের ন্যায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে।যার ফলে আবুল বাশারের কর্মকান্ডে অন্যান্য কারারক্ষীরা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। দূনীর্তিবাজ্ব আবুল বাশারকে প্রত্যাহার না করা হলে কারাগারে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবার আশংকা দেখা দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ডি আই জি ফজলুল হকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। পরে নবাগত সিনিয়ন জেল সুপার সিদ্দিকুর রহমানের টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জেলর মাসুদ পারভেজ মঈন সাংবাদিকদের জানান আবুল বাশার বদলী হয়েছে এটা ঠিক তবে তার নতুন কর্মস্থলে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপর।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সিরাজুল ইসলাম/যশোর