কোন অবস্থায় আবাসিক হোটেল ইউরোপেনসনের অবৈধ দেহ ব্যবসা বন্ধ করতে পারছে না প্রশাসন। ভ্রাম্যমান আদালত, পুলিশে অভিযান, সিলগালা করলেও চলছে ভ্রাম্যমান পতিতাদের দিয়ে দেহব্যবসা। হোটেল ম্যানেজার বক্কার হোসেন দেহ ব্যবসায় পরিচালনায় যেন হয়ে পড়েছে অপ্রতিরোধ্য। বৃহস্পতিবার রাতে খরিদ্দারসহ ৮জন আটকের পর কোতয়ালি থানার পুলিশ এসব কথা বলেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোর ডিবি পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পতিতা, খরিদ্দারসহ ৮জনকে আটক করেছে। এরমধ্যে খুলনার হত্যা মামলার দুই আসামি রয়েছে। আটককৃতরা হলো, আবাসিক হোটেল ইউরোপেনসনের কথিত ম্যানেজার রেলরোডের মৃত. শফিয়ারের ছেলে আবুল খায়ের, জয়পুরহাটের ভেটি এলাকার  আইনুদ্দিনের মেয়ে ডলি (২৬), ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানার শ্রীরামপুর এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামান আকাশ, একই এলাকার আসলামের স্ত্রী রোকেয়া (২৬), খুলনার বটিয়াঘাটার বলাইবুনিয়া এলাকার আমিনুরের ছেলে আশিক, যশোরের কেশবপুর থানার বাকিয়াঘাটার সাজ্জাদের মেয়ে রূপাইয়া,  খুলনার দিঘলিয়া থানার সেনহাটি গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে রাজিব এবং রূপসার যোগীহাটি গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে রূপা ওরফে নুরজাহান (১৮)।

ডিবি পুলিশের দারোগা আবুল খায়ের জানান, শহরের মুজিব সড়কের আবাসিক হোটেল ইউরোপেনশনে অভিযান চালিয়ে পতিতা ও খরিদ্দারসহ ৭জনকে আটক করা হয়। পরে হোটেলের ম্যানেজার আবুল খায়েরকে আটক করলেও হোটেলের মূল ম্যানেজার আনোয়ার ও তার পিতা বক্কার দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আটক রাজিব ও রূপা ওরফে নুরজাহার খুলনা সোনাডাঙ্গা থানার একটি হত্যামামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সোনাডাঙ্গা থানার মামলা নং ১২। তারিখ ১২/১০/২০১১। তাদেরকে কোতয়ালি থানার পুলিশ খুলনার প্রেরণ করেছে।

কোতয়ালি থানার পুলিশ বলেছে, আবাসিক হোটেল ইউরোপেনসনে দীর্ঘদিন ধরে ভ্রাম্যমান পতিতাদের নিয়ে অবৈধ দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এছাড়া শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ওই হোটেলে অবাধে যাতায়াত রয়েছে। এমনকি হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে হোটেলে বসে। পুলিশ, ম্যাজিষ্ট্রেট, ভ্রাম্যমান আদালত ওই হোটেলে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। এমনকি সীলগালা করেছে। তারপরও আবাসিক হোটেল ইউরোপেনসনে দেহব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না।

 

সিরাজুল ইসলাম সিরাজ যশোর থেকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here