যশোর শহরের কারবালা ধোপাপাড়া এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি নাইনএমএম পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আল-আমিন নামে এক যুবককে আটক করে। সে ওই এলাকার ওয়াব আলীর ছেলে। পুলিশের দাবি ধৃত আল-আমিন চিহ্নিত অস্ত্র ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তবে স্থানীয় অনেকের অভিযোগ পুরো ঘটনাটি পুলিশের সাজানো নাটক ও পরিকল্পিত। উচ্চ মহলের তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে এমন দাবি তাদের। সবমিলিয়ে এনিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুর দেড় টার দিকে কোতয়ালি থানার আলোচিত এক দারোগা ধোপাপাড়ায় ঢুকে অস্ত্র গুলি উদ্ধারের প্রচার দেন। এসব অস্ত্রের মালিক আল-আমিন দাবি করে তাকে আটকও করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা প্রায় সময় এই এলাকার টপটেরদের ঘাঁটিতে অবস্থান করেন। চিহ্নিত কয়েকটি ছাত্রাবাসেও তাকে প্রায় সময় দেখা যায়। সূত্রের দাবি এই দারোগা দির্ঘদিন ধরে এসব চিহ্নিত স্থানে ঘাঁটি গেড়ে মানুষকে ট্রাফে ফেলে অর্থ আদায় করে আসছেন। ব্লাকমেইলই তার অবৈধ আয়ের প্রধান উৎস। তার একাজে বেশ কয়েকজন টেরর ও মাদক ব্যবসায়ী সহযোগীতা করে। এই দারোগা তার মটরসাইকেলে প্রায় সময় টাউট বাটপাড় ও টপ টেরর নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান বলেও নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। ভুক্তভোগীর স্বজনরা প্রভাবশালী এই দারোগার বিরুদ্ধে মুখ না খুলতে চাননি। তবে অস্ত্র উদ্ধার নাটক করে আল-আমিনকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে এমন দাবি তাদের। তবে পুলিশ এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সিরাজুল ইসলাম সিরাজ/যশোর