যশোর সদরের কাশিমপুর ডহেরপাড়া এলাকায় দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট ও আওয়ামীলীগের নেতাকে মারপিটের ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে আবারও সহংসিতার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক ঘন্টা ব্যাপি হামলা ও পাল্টা হামলার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের নিতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে এক পুলিশসহ কমবেশি ১০জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ১১জনের নাম উলেখসহ ২০০/৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আহত পুলিশ সদস্য মিরাজকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েক’শ দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছুলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় যশোর পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কোতয়ালি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) আমির আব্বাস দায়েরকৃত এজাহারে বলা হয়েছে, যশোর সদরের ডহেরপাড়ার আবুল বিশ্বাসের ছেলে টিটো, মৃত কালামের ছেলে জহুরুল ইসলাম, ছমির মণ্ডলের ছেলে কামরুল, মতিয়ার মাস্টারের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মনিরুদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, বোরাকের ছেলে রিপন, মৃত. আব্দুর রহমানের ছেলে শাহজাহান আলী,মৃত. ছাব্বিরের ছেলে ইউসুফ আলী, কেফায়েত মিয়ার ছেলে শাহিন ও আলমগীর, দৌলতদিহি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ফিরোজ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৪শ /৫শ লোক সোমবার রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে ইটপাটকেল দিয়ে হামলা করছে। এ সংবাদ পেয়ে কোতয়ালি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) আমির আব্বাসসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছুলে উভয় পক্ষ পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় কোতয়ারি থানার ওসি (তদনত্ম) মনিরুজ্জামান ও থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নাসির হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে তাদের ওপরও উভয় পক্ষ হামলা চালায়। এসময় কোতয়ালি থানার কনস্টেবল মিরাজ হোসেন (ক ৯৭৯) গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও এলাকায় তাণ্ডব চালানোর সংবাদ পেয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ডহেরপাড়া, দৌলতদিহি এলাকায় দাঙ্গা পুলিশ পাঠালে সন্ত্রাসী বাহিনী পালিয়ে যায়। এসময় যশোর সহকারি পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যশোর সদরের কাশিমপুর ইউনিয়নের ডহেরপাড়া এলাকায় সোমবার সকালে ২০/২৫টি দোকান ভাংচুর করা হয়। এসময় লুট করা হয় ১০ লাখ টাকার মালামাল। ঘটনাটি মিমাংসা করে ফেরার পথে আওয়ামীলীগের যশোর সদর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে স্থানীয় লোকজন শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে কোতয়ালি থানায় অবরোধ করে। এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সিরাজুল ইসলাম সিরাজ/যশোর