যমুনা ও বড়াল নদীতে অস্বাভাবিক নব্যতা হ্রাস পেয়েছে। এতে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নৌবন্দর বাঘাবাড়ী অভিমুখে জ্বালানী তেলসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। একটি দায়িত্বশীল সূত্রে প্রকাশ, কয়েক সপ্তাহ আগেই যমুনা ও বড়াল নদীর অস্বাভাবিকভাবে নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে এবং সেই সাথে এ দু’টি নদীর বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য চর ও ডুবোচর জেগে উঠেছে। এ কারণে সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, পাবনা, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও বগুড়া চ্যানেলে নৌযান চলাচলে চরমভাবে বিঘ্ন ঘটছে। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ চ্যানেলে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার প্রধান নৌবন্দর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী অভিমুখে তেল, সারসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ভর্তি জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ইতোমধ্যেই কমপক্ষে ৪৫টি জাহাজ এ দু’টি নদীর বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে। বিশেষ করে বাঘাবাড়ী নৌবন্দর অভিমুখে তেল সার ভর্তি ১৭টি জাহাজ ও কার্গোবোর্ড বেড়া, নটাখোলা, ত্রিমোড়, নুকালী ও পেচাখোলাসহ বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে। তেল সার সরবরাহে এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে মৌসুমী ইরি ও বোরো চাষাবাদে চরম বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, যমুনা ও বড়াল নদীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যথাসময় ড্রেজিং না করায় এবং অসময়ে ড্রেজিং কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ায় এমন পরিস্থিতির সুষ্টি হয়েছে। নৌবন্দরের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলছেন, যমুনা ও বড়াল নদীর বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক নব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নৌবন্দর অভিমুখে পণ্য ভর্তি জাহাজ ও কার্গোবোর্ড আটকা পড়লেও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নৌবন্দরে আনা বা ভিড়ানো হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও কোনো জটিল আকার ধারণ করেনি। যে কারণে ইরি ও বোরো চাষাবাদে তেল সার সঙ্কট ও তার মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা নেই বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সুজন সরকার/সিরাজগঞ্জ