মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :: খুলনার পাইকগাছায় মৃত্যুর পূর্বে খুলনা বিএল কলেজ ছাত্রী গৃহবধূ সোনালী (১৯) ১০ আগস্ট বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিট বড়ই আক্ষেপ করে তার কাকাতো ভাই মিঠুনকে মোবাইল চ্যাটের মাধ্যমে জানান, “আমি যা কিছু ভুল করেছি তা আর কি বলব, আপসোস করার জায়গা নাই। নিজের লাইফ নিজের হাতে শেষ করে দিলাম। মরতে পারলে বেঁচে যেতাম, আর যদি মরে যাই তাহলে শুধু রবিনই দায়ী থাকবে। তোকে বলে রাখছি ওকে জেলের ভাত খাওয়াবি”!
এদিকে সোনালীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ঘটনার দিনে পুলিশ সোনালীর স্বামী রবিন ও শ্বশুর বাবুলাল বিশ্বাসকে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধাবারে পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠালে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এদিকে বাপের বাড়ীতে ডুমুরিয়ারর আইতলাতে সোনালীর শবদাহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানাগেছে। আগেই সোনালীর বাবা অভিযোগ করেছেন তার মেয়েকে মেরে ফেলে ঘরের আড়ায় ঝুঁলিয়ে রাখা হয়।
অন্যদিকে সোনালীর শ্বাশড়ি সুমিত্রা ও বাবা বাবুলাল বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৌমা ঘরে বই পড়াকালে দরজা আগলে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে এবং বাড়ীর লোকজন তাকে উদ্ধার। অন্য একটি সূত্র বলছে পারিবারিক কলহে ও স্বামী রবিনের মানসিক পীড়নে সোনালী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।
উভয় পরিবার সূত্রে জানাগেছে খুলনা বিএল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় রবিন বিশ্বাস ও সোনালী দু জনে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ৩ বছর আগে রেজিঃ বিয়ে সর্বশেষ দু’পরিবারের সম্মতিতে গত ৫ জুলাই এদের মধ্য ধর্মীয় মতে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ মাসের মধ্যে মঙ্গবার বেলা ১১টার দিকে বোয়ালিয়ার ব্রিজ সংলগ্ন মালোপাড়া স্বামীর বাড়ীতে সোনালীর ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার হয়।
ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের এবং মৃতের স্বামী শ্বশুরকে জেল হাজতে পাঠানোর কথা বলে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন।