মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে কতিপয় কর্মচারীদের কাছে সাধারণ রোগীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের কয়েকজন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী বিভিন্ন ডায়ানষ্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, ফার্মেসী এবং এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সাথে জড়িত। হাসপাতাল এলাকায় নিজেরাই এককভাবে ব্যবসা চালিয়ে নিতে তৎপর থাকে সারাক্ষন। এছাড়া হাসপাতালের ওটি বয় হিসেবে দায়িত্বরত সাহাবুদ্দিন, সামছু ও অরম্নন নিজেদের বেতনের কয়েকগুন অবৈধভাবে কামাই করে নিচ্ছে। জরম্নরী বিভাগে কর্মরত ব্রার্দার, এমএলএসএস, সুইপাররা ব্যস্থ তাকে তাদের নিজেদের মালিকানাধীন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ফার্মেসীতে রোগীদের পাঠানোর জন্য ব্যস্থ থাকেন। অন্য ফার্মেসী বা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গেলে রোগীদের গালমন্দ করেন। ব্রাদার মঈন উদ্দিন, নন্দি বাবু, এমএলএসএস রা, হরেন্দ্র বাবুর বিরুদ্ধে রোগীদের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রর্দশনপূর্বক টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও হয়নি কোন ব্যবস্থা। গাইনী ও প্রসূতি বিভাগে কর্মরত নিয়তী সিষ্টারের স্বামীর মালিকানাধীন নিতু ফার্মেসী থেকে ঔষধ আনতে রোগীদের বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ব্রার্দার মঈন উদ্দিনসহ হাসপাতালে চাককুরীরত আরো কয়েকজন ল্যাব এইড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক হিসাবে রয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমএলএসএস, সুইপারসহ প্রতিটি ওর্য়াডে দায়িত্বরতরা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগীদের নিয়ে টেষ্ট করানো সহ ঔষধ কেনা পর্যন্ত সাথে থাকে। এতে প্রতিদিন ৫/৭ শত টাকা আয় করছে। ওটি বয় সাহাবুদ্দিন রোগীদের ওটি আনা-নেয়ার বদলে ৫শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা বকশিস হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছে। ১/২ শত টাকা  কোন রোগীর পক্ষ থেকে দেয়া হলে ছুড়ে ফেলে দেয় তারা। এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার সামছু এবং তার ছেলে রম্নবেল সারাক্ষন বসে থাকে জরুরী বিভাগের সামনে। সেখান থেকে রোগীদের ঔষধপত্র তাদের মালিকানাধীন হৃদয় ফার্মেসী থেকে নেয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। তাছাড়াও তারা সরকারী এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট বলে রোগীদের তাদের মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রণাধীন খাদিমূল কুরআন এবং সততা নামক এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীদের সিলেট বা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের মূল্যবান যন্ত্রপাতি খোলে নিয়ে তাদের নিজের গাড়িতে সংযোজন করছে বলে নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক অপর একজন চালক জানান। বাপ-ছেলে মিলে সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের ক্ষতি সাধন করলেও কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ইতোপূর্বে সামছু ড্রাইভারকে কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় বদলী করলে টাকার জোরে চলে আসে মৌলভীবাজারে। তার ছেলের চাকুরী হয়েছে মোট অংকের টাকার বিনিময়ে। তাই জুড়ি থেকে অল্পদিনের মধ্যেই ছেলেকে নিয়ে আসে মৌলভীবাজারে। হাসপাতালের প্যাথলজি, রেডিওলজি বিভাগের কর্মরতরা বিভিন্ন ডাযাগনষ্টিক সেন্টারের সাথে জড়িত থাকার কারণে অনেক অসহায় রোগীরা বাহির থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিয়ে আনতে বাধ্যকরা হয়। হাসপাতালের ভিতর থেকে গ্রাম-গঞ্জে চিকিৎসা সেবাদানকারী পল্লী চিকিৎসকদের কাছে সরকারী ঔষধ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিনেশ কুমার বলেন, সব কিছুর ব্যাপারে তদন্তপূবর্ক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতালে কর্মরত যারা অপকর্মের সাথে জড়িত তাদেরও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সজল দেব/মৌলভীবাজার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here