শনিবার রাতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীকে দেখতে আসা এক তরুণীকে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক অপহরনের দায়ে পুলিশ শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজকে গ্রেফতার ও ব্যবহৃত প্রাইভেট কার সহ তরুণীকে উদ্ধার করেছে। প্রাইভেট কার চালক অপর সন্ত্রাসী পারভেজ পালিয়ে গেছে। গ্রেফতাকৃত তাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের মোট ৩৬টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ২নং বেডের রোগী পরিমল (২০) কে দেখতে এসেছিল ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী। শনিবার রাত ১১টায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজ উদ্দিন তাজ ও পারভেজ আহমদ ঐ তরুণীকে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক অপহরন করে একটি প্রাইভেট কার যোগে (মৌলভীবাজার ভ-০২০১১৩) রওয়ানা হয়।
খবর পেয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে হাসপাতালের গেইট থেকেই কারটি আটক করে তরূণীকে উদ্ধার ও তাজকে গ্রেফতার করে। এই সময় প্রাইভেট কারের চালক তার সহযোগী পারভেজ পালিয়ে যায়। অপহৃত ঐ তরুনী মৌলভীবাজার শহরের পুরাতন হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা।
এই ব্যাপারে শনিবার রাতেই মৌলভীবাজার মডেল থানায় অপহৃত তরুণী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর ছালেহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৌলভীবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজের বিরুদ্ধে খুন,ধর্ষণ,চাঁদাবাজি,অপহরণ ইত্যাদি অপরাধের মোট ৩৬ টি মামলা রয়েছে। অপর দিকেপারভেজের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। ।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আনা গোনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইতিপূর্বে এই ধরনের আরও দু-একটি ঘটনা ঘটলেও মান ইজ্জতের ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি। তাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্মের স্বীকার হচ্ছেন।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা:কান্তি ভোষণ ভট্টাচার্য্য জানান, শনিবার রাতের ঘটনার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেননি।
তবে হাসপাতালের তত্তাবধায়কস ডা:দিনেশ সূত্র ধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোগী ও তার স্বজনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং হাসপাতালের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে পুলিশের সহায়তা চেয়ে রোববার তারা চিঠি দেবেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সজল দেব/মৌলভীবাজার