ডেস্ক রিপোর্ট::  মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে বসতঘরে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

কমিশন মনে করে, কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় সচেতনতার মাধ্যমে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অব্যবস্থাপনা, মানহীন সরঞ্জাম ব্যবহার এ ধরনের দুর্ঘটনা বৃদ্ধি করে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ এবং নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ঝড়ের সময় বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের মূল তার ওই পরিবারের ঘরের ওপর ছিঁড়ে পড়েছিল। টিনের তৈরি হওয়ায় ঘরে থাকা সবাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে আগুনও জ্বলে ওঠে। এতে ঘরের বাসিন্দা বাকপ্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান, তার স্ত্রী শিরি বেগম ও তিন শিশু সন্তান মারা যায় এবং আহত এক শিশু সন্তানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।

কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ এর তারের নিচে একটি টিনের তৈরি বাড়ি কীভাবে বানানো হয়েছে, বিষয়টি কমিশনের বোধগম্য নয়। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ছিল তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এর জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পল্লি বিদ্যুতায়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় কমিশন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে, কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় সচেতনতার মাধ্যমে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অব্যবস্থাপনা, মানহীন সরঞ্জাম ব্যবহার এ ধরনের দুর্ঘটনা বৃদ্ধি করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here