মৌলভীবাজারে মেলার সাথে জুয়া,হাউজি,যাত্রাগান,লটারী , অশ্লীল নৃত্যের মেলাবন্ধন থাকায় আয়োজিত মেলা সংশিস্নষ্ট এলাকার জনসাধারনের জন্য বিষফোড়া হিসেবে গন্য হচ্ছে। মেলা চলাকালীন সময়ে এবং ভাঙ্গার পরও চুরি-ডাকাতি এবং ছিনতাই বৃদ্ধি পাচ্ছে মারাত্মক ভাবে। এমতাবস্থায় মেলা এখন বিনোদনের পরিবর্তে অপরাধের উৎস হিসেবে গন্য হচ্ছে । বিজয় দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজার সদরের মনুমুখ ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামে বিজয় মেলা এবং নাটকের অনুমতি নেয়া হয়েছিল একদিনের জন্য।  কিন্তু একদিনের মেলাকে কেন্দ্র করে সেখানে এক সপ্তাহ অনুষ্টিত হয় যাত্রা, জুয়া, হাউজিসদ অশ্লীলনৃত্য । মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বখাটে উপদ্রব চুরি ও ছিনতাই বৃদ্ধি পাওয়াতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সংশিস্নষ্ট কর্তৃপড়্গের নিকট অভিযোগ পেশ করেছিলেন।

বিজয় দিবসকে উপলক্ষ হিসেবে খাড়া করে রাজনগরের নন্দীউড়াতে পনেরদিন ব্যাপী মেলার অনুমোদন নিয়েছিল স্থানীয় শেখ মনি স্মৃতি সংসদ। পনেরদিনের অনুমোদনকে বাড়িয়ে সেখানে টানা এক মাস চলেছে যাত্রাগান, হাউজি ও জুয়ার আসর। জেলার গুপ্ত জুয়ার আসর গুলো নন্দীউড়াতে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে ।

এদিকে মৌলভীবাজার জেলা সদরও সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিজয় মেলাতে জুয়া হাউজি অনূষ্টিত না হলেও প্রতি রাতে চলছে লটারীর আয়োজন।এমনকি রিস্কা,ভ্যান করে সারা শহরে লটারীর কুপন বিক্রী করা হচ্ছে প্রকশ্যে।আকর্ষনীয় পুরস্কারের ঘোষনা দিয়ে উঠতি যুবক এবং নিম্নবিত্তের পকেটকে খালি করা হচ্ছে এ লটারির মাধ্যমে। জেলা সদরের কাশীনাথ আলা উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমানতরাল আরেকটি মেলার আয়োজন চলছে। বিজয়ের মাস চলে গেলেও এটিরও শিরোনাম হচ্ছে বিজয় মেলা। আয়োজক হচ্ছে ”মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা পুর্নবাসন,যোদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বহুমূখী সমিতি ”।

উল্লেখ্য, প্রতিটি মেলা আয়োজনের পেছনে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল। তাই প্রশাসনের ও এ ব্যাপারে দুর্বলতা রয়েছে বলে একটি সূত্র দাবী করছে। স্কুল মাঠে মেলা বা এ ধরনের কিছু আয়োজনের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিধি নিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। জেলা সদরের দুটি বিজয় মেলা নিকটবর্তী দুটি স্কুলের ছাত্রদের পাঠ-পঠনের ক্ষেত্র হুমকী সৃষ্টি করছে বলে অভিভাবক মহল মনে করছেন ।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সজর দেব/মৌলভীবাজার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here