সজল দেব,মৌলভীবাজার

এক ভন্ড কবিরাজ প্রতারণা করে ১১ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার উপজেলার বারহাল গ্রামে। বুধবার বিকালে তাকে থানা থেকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়, আমতৈল ইউনিয়নের আবেদ আলী মেম্বার দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভোগছিলেন। ডাক্তারী কিংবা কবিরাজি চিকিৎসায় তার রোগ ভালো হচ্ছিল না। এ অবস’ায় কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার রশিদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক কবিরাজের সাথে তার ছেলের মৌলভীবাজারের দীঘিরপাড়বাজারে স্বাক্ষাত হয়। তখন তার পিতার এই অসুখের কথা শুনে কবিরাজ নিশ্চয়তা দেন তিনি কবিরাজি করলে কয়েক দিনে মধ্যে সুস’ হয়ে উঠবেন। এমন আশ্বাসের পর গত মঙ্গলবার তাকে কবিরাজি চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। কবিরাজ রোগির কথাবার্তা শুনে বলেন ১১ ভরি স্বর্ণালংকার পানি ভর্তি পাতিলে ভিজিয়ে রেখে সে পানি রোগিকে কয়েক দিন খাওয়াতে হবে এরপর তিনি আরগ্য লাভ করবেন। কবিরাজের কথা মতো পরিবারের লোকজন ১১ ভরি স্বর্ণালংকার যোগার করে তার হাতে তুলে দেন। এরপর কবিরাজ রশিদুল ইসলাম পাতিলে পানি ভর্তি করে ঝাড় ফুক দিচ্ছিলেন।

এরই এক ফাঁকে স্বর্ণালংকারের পুটলি ব্যাগে লুকিয়ে ফেলেন। তারপর পানি খাওয়ানোর নির্দেশাবলী দিয়ে কবিরাজ চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় পরিবারের লোকজন কবিরাজকে সোনা কোথায় জিজ্ঞেস করলে তিনি চলন্ত অবস’ায় বলেন পাতিলের মধ্যে স্বর্ণালংকার রয়েছে। পাতিলের মধ্যে স্বর্ণালংকার না পেয়ে তারা কবিরাজকে আটক করে। তার ব্যাগ তল্লাশী করে স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেন। এরপর তাকে গনধোলাই দিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। লিভার সমস্যায় আক্রান্ত আবেদ আলী মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার বিকালে নামাজের জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবর স’ানে দাফন করা হয়েছে। মডেল থানার এএসআই আব্দুল গনি ঘটনাস’লে গিয়ে ভন্ড কবিরাজকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। প্রতারণার স্বীকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে প্রেরন করেছে। তদন্তকারি কর্মকর্তা এএসই আব্দুল গনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here