মৌলভীবাজার শহরের হজরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) এর ঊরশ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় চাদাঁবাজিকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের একটি ভ্যান ভাংচুর করা হয় এবং দুই-পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া আহমদকে১নং আসামী করে ৪শজনকে আসামী দিয়ে একটি করে মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শহরের শাহ মোস্তফা (রহ:) মাজার প্রাঙ্গনে আয়োজিত মেলায় আগত দোকান থেকে ছাত্রলীগের দুই কর্মী মোহিত ও মুন্না চাদাঁবাজি ও মেয়েদের সাথে অশ্লীল আচরন করছিলো। এই সব ঘটনায় স্থানীয় জনগন ও ব্যবসায়ীরা তাদেরকে আটক করে মেলায় দায়িত্ব পালনরত পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাকারিয়া ও তার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা আটককৃত দুইজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করে। পুলিশ তাদেরকে ছাড়তে সম্মত না হলে শুরু হয় তুমুল বাক্ বিতন্ডা। এক পর্যায়ে পুলিশের উপর হামলা করে পুলিশের ভ্যান ভাংচুর করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ছিনিয়ে নেয় আটককৃত দুইজনকে। তখন পুলিশ কনষ্টেবল ভ্যান চালক শফিকুর রহমান, এস আই সজল ও আনোয়ার আহত হন । তাদের মধ্যে চালককে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ছাত্রলীগের বেপরোয়া নেতাকর্মীরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পাশাপশি পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা চলতে থাকে।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জাকারিয়া বলেন, এ ঘটনার সাথে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রের নীল নক্সাকে বাস্তবায়ন করে পুলিশ ছাত্রলীগের উজ্জল ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে। পাশাপশি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাসিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
জেলা ছাত্রলীগ নেতা গৌছ উদ্দিন নিক্সন জানান, এ পুলিশের উপর হামলা ও চাদাঁবাজির ঘটনায় যদি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার নিয়ন্ত্রিতদের সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে তা দূ:খজনক। এতে তার অযোগ্যতার পরিচয় ফুটে উঠে। অযোগ্যদের স্থান ছাত্রলীগে নেই। এব্যাপারে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ ৩২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়া, ২১ জন আটক ও ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা ভ্যান ভাংচুরের ঘটনা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়াসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামীয় ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সজর দেব/মৌলভীবাজার