মৌলভীবাজার শহরের হজরত শাহ সৈয়দ (র:) এর ঊরশ উপলক্ষে আয়োজিত মেলা প্রাঙ্গনে সোমবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ ছাত্রলীগের একটি আক্রমনে আক্রান্ত তিন জন পুলিশসহ ২০জন আহত হয়েছে। পুলিশের পুলিশের ভ্যান ভাংচুর করা হয় এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশ ও র‌্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৫০রাউন্ড রাবার বোলেট ছুড়ে। এতে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইন শৃংখলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, শহরের শাহ মোসত্মফা (র:) মাজার প্রাঙ্গনে আয়োজিত মেলার পাশে টাকার বিনিময়ে রিং দিয়ের খেলার একটি দোকান বসাতে আপত্তি করে মডেল থানা পুলিশ। তাদের আপত্তিতে কর্ণপাত না করে ছাত্রলীগের দুই ছেলে দোকান বসিয়ে রিং খেলা শুরু করে। এ সময় মডেল থানার এস আই সজল ও আনোয়ারের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ তাদের দুইজনকে পুলিশ আটক করে। এই খবর পেয়ে ছাত্রলীগের সভাপতির পুলিশের সাথে আলোচনাক্রমে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তার গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করে পিকআপ ভ্যানসহ ৫টি গাড়ি ভাংচুর করে। ছিনিয়ে নেয় আটককৃত দুইজনকে। তখন পুলিশ কনষ্টেবল ভ্যান চালক শফিকুর রহমান, এস আই সজল ও আনোয়ার আহত হন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে একটি সুত্র জানায় আর বাকিদের নাম জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধ হন শহরতলী জগ্ননাথপুর গ্রামের নীরিহ পথচারী নাসির(৪৮)।  এই রিপোর্ট লেখা পর্যনত্ম শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে । মেলা প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর পুলিশ কর্মকর্তা এস আই সজল, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সালেহ, পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এর সাথে বার বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠো ফোনে জানান, এই মূহুর্তে কথা বলতে পারবেন না, তিনি ব্যস্থ আছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সজল দেব/মৌলভীবাজার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here