মৌলভীবাজার মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের ফতেহপুরের যে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে পুলিশের যে অভিযান চলছিল সেখানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ৭ থেকে ৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি আরো জানান, আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ওই দেহগুলো ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে। এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ গতরাতে ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ। ফতেহপুরের জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ‘অপারেশন হিটব্যাক’ নামের এই অভিযানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

ফতেহপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন “অভিযান শেষে ওই ভবনের ভেতরে ঢুকে তাঁরা দেখেন যে মানুষের দেহের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দুটো ঘরে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে আছে।”

দেহের অংশগুলো দেখে মনে হয়েছে সাত থেকে আটজনের দেহের অংশবিশেষ হতে পারে। নারী, পুরুষসহ দুই-একজন অপরিণত বয়সের দেহের অংশবিশেষও থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। গন্ধ বের হচ্ছে, প্রবেশও করা যাচ্ছিল না”।

পুলিশ ধারণা করছে, “যখনই জঙ্গিরা দেখেছে যে পালিয়ে যাওয়ার পথ নেই, তখন তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহনন করেছে”।

ফতেহপুর অভিযান শেষে ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম আরও বলেন যে “তারা নিশ্চিত নিহত ব্যক্তিরা নব্য জেএমবির সদস্য”।

নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক সূত্রে তারা জানতে পেরেছিলেন ওই ভবনের ব্যক্তিরা সব একই পরিবারের সদস্য। তবে পুলিশের ক্রাইম সিন ও সিআইডির কর্মকর্তারা এখন কাজ করছেন এবং তাদের কাজ শেষ হলে নির্দিষ্ট করে জঙ্গিদের তথ্য দেয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

ওদিকে মৌলভীবাজারের পৌর এলাকার বড়হাটের অন্য জঙ্গি আস্তানা এখনও ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী । এখন সেই আস্তানায় অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here