শফিকুল ইসলাম,কলকাতা
ভারতের বেশ কয়েকটি নারী সংগঠন এবং বিশিষ্ট মহিলা নেত্রীরা অভিযোগ করেছেন,উত্তরপ্রদেশের আলিগড় উইমেন্স কলেজের মেয়েদের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের লাইব্রেরি ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। জায়গার অভাবের কারণ দেখিয়ে তাদেরকে এই সম্বৃদ্ধ লাইব্রেরি ব্যবহার করতে দেয়া না হলেও এর পিছনের মূল কারণ হলো তীব্র লিঙ্গ বৈষম্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের এই লাইব্রেরি অন্যান্য এম বি বি এস বা ইঞ্জিনীয়ারিং বিভাগের ছেলেদের ব্যবহার করতে দেয়া হয়। তাদের বেলায় স্থান সঙ্কুলানের অজুহাত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখান না। কিন্তু মহিলাদের এই লাইব্রেরি ব্যবহারে বাধা দিতে অবলীলায় জায়গার অভাবের কথা জানিয়ে দেন তাঁরা। এই লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় মানবোন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিবালকে স্মারকলিপি দিয়েছে বেশ কয়েকটি নারী সংগঠন এবং বিশিষ্ট মহিলা নেত্রীরা। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতিসহ আরো বেশ কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল সিবালকে স্মারকলিপি দেয় গতকাল। তাঁরা অবিলম্বে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
ওই স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, অন্যান্য ছাত্ররা যখন বিনা পয়সায় লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগ পায়, সেসময় ছাত্রীদের ক্ষেত্রে জায়গার অভাব দেখিয়ে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়। ঐ চিঠিতে তাঁরা সিবালকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে জোরালো বিরোধিতার মুখে দাঁড়িয়ে মুসলিম মহিলাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য এই কলেজ তৈরি করা হয়েছিল।
তাঁরা বলেছেন, আজকের দিনে নিরাপত্তা এবং ঐতিহ্যের নামে মুসলিম মেয়েদের সাধারণ একটি সুযোগ থেকে বঞ্চিত করাকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্লজ্জভাবে এই লিঙ্গ বৈষম্যের ধারা যাতে অবিলম্বে বন্ধ হয় তারজন্য সিবালকে উদ্যোগী হওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলি।
এই দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট মহিলা নেত্রী বৃন্দা কারাত, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষে সুধা সুন্দররমণ, সুভাষিণী আলি, জগমতী সাঙ্গওয়ান, রাজ্যসভার সাংসদ টি এন সীমা, অর্থনীতিবিদ জয়তী ঘোষ, সি ডব্লিউ ডি এস-র পক্ষে ইন্দ্রাণী মজুদার, এন এফ আই ডব্লিউ-র পক্ষে অ্যানি রাজা, জে এম এস (দিল্লি)’র পক্ষে সেহবা ফারুকি, আলবিনা শাকিল, মুসলিম উইমেন্স ফোরামের পক্ষে ড. আজরা আবেদি ও প্রমুখ।