ডেস্ক রিপোর্ট:: ‘এগিয়েছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি মেয়র থাকাকালে ডিএসসিসি যেসব সফলতা অর্জন করেছে তা ফের নগরবাসীর সামনে তুলে ধরছেন। এছাড়া ২০১৯ ও ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের সঠিক তথ্য উপস্থাপন করবেন তিনি।
শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুরুতে ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে সাঈদ খোকন মেয়র থাকা অবস্থায় উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা হয়।
এর আগে গত ১৫ মে মালিবাগ মোড় সংলগ্ন উড়ালসেতুর নিচে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ৪২ হাজার কম ছিল।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ১ লাখ ৫৫ হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গতবছর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল যে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ২০১৯ সালকেও ছাড়িয়ে যাবে। আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমাদের মশককর্মী, যান-যন্ত্রপাতি, মানসম্পন্ন কীটনাশক মজুত ও কাউন্সিলরবৃন্দের সহযোগিতায় আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি। রোগীদের ঠিকানার ৪০০ গজের মধ্যে বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন জায়গা ও স্থাপনায় আমাদের মশককর্মীরা কাজ করেছে। ফলে সফলতার সাথে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি বলেই ২০২৩ সালে উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগী ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার। সুতরাং, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। এ বছরও সবার সহযোগিতায় ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান মেয়রের এমন বক্তব্যের পরই ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সংবাদ সম্মেলনে এসে তার মেয়র থাকাকালীন উন্নয়েন কার্যক্রম তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা ছিল আমাদের। ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ব্যাপক হারে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর ঢাকাসহ সারাদেশে এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭৯ জন মারা যান। তারপরও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছি। যদিও ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দেশের ইতিহাসে অতীতের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকাতেই এক লাখ ১০ হাজার আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। একই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯৮০ জন মারা যান।