উপসাগরীয় দেশগুলোতে বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বেশ কজন বাংলাদেশীকে বাঁচাতে তাদের পরিবার এবং বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে চেষ্টা চলছে৻

কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বেশ কজন বাংলাদেশী এখন তাদের দন্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় আছেন৻

তাদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দন্ড লাঘব বা মওকুফ করে তাদের প্রাণে বাঁচানোর জন্য তারা নানা ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন৻ বাংলাদেশ সরকারও জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারাও আপোসরফার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৻

উল্লেখ্য গত বছর সৌদি আরবে আটজন বাংলাদেশীর শিরোচ্ছেদের পর বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। অভিযোগ উঠেছিল যে সরকার তাদের সাজা মওকুফের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা চালায়নি৻

প্রাণ ভিক্ষার আবেদন

২০০৯ সালের নভেম্বরে দুবাইতে এক বাংলাদেশীকে হত্যার দায়ে আরেক বাংলাদেশী শাহাব উদ্দিনকে আদালত মৃত্যুদন্ড দেয়৻

তবে নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে এখন উচ্চ আদালতে আপীল আবেদনের শুনানি চলছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর নাসরিন জাহান।

শাহাব উদ্দীনের মা মমতাজ বেগম মোবাইল টেলিফোনে চট্রগ্রাম থেকে জানান তারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে তার ছেলের প্রাণ ভিক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন৻

চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ  জানিয়েছেন, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের বাঁচাতে সরকারি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জোর চেষ্টা চলছে৻ তিনি জানান, এই ঘটনা ছাড়াও আরেকটি মামলাতেও চট্টগ্রামের আরেক ব্যক্তিকে দুবাইতে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে৻ দুটি ক্ষেত্রেই অপরাধের শিকার যারা হয়েছেন, তারাও বাংলাদেশি৻ এসব পরিবারের মধ্যে তারা একটা আপোসরফার চেষ্টা করছেন যাতে সাজাপ্রাপ্তদের মৃত্যুদন্ড মওকুফ করা যায়৻

মিস্টার আহমেদ বলেন, “পরিবারগুলোর মধ্যে কথা হচ্ছে। এখনি বলা যাবেনা যে পুরো প্রক্রিয়া ব্যর্থ তবে এও বলা যাবেনা যে পুরো সফলতা এসেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচির জাফর আহমেদ খান জানান, সরকারের দিক থেকে মৃত্যুদন্ড মওকুফের লক্ষ্যে তারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন৻

বাংলাদেশ সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৫৫ লক্ষ শ্রমিক রয়েছে।

তবে কি পরিমাণ বাংলাদেশি সেখানে মৃত্যুদন্ডের মতো চরম শাস্তি পেয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই বলে কর্মকর্তারা জানান।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নিউজ ডেস্ক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here