মোহাম্মদ সুজন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :: মুন্সীগঞ্জে ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে বন্যা পানি। জেলার ভাগ্যকুল পয়েন্টে  পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার এবং মাওয়া পয়েন্টে  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এদিকে মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসিমার  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি কমতে থাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে পদ্মা, মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতীরবর্তি গ্রাম গুলোতে।   চলতি বন্যায় ইতোমধ্যে জেলার ৩৯টি ইউনিয়নে ২৬৫ টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সরকারি হিসাবে পানি বন্দি হয়ে পরেছে এসব এলাকার দেড় লক্ষাধিক মানুষ। এদের মধ্যে ৬১৭টি পরিবার আশ্রয়ন কেন্দ্রে অবস্থান করছে।  ভেসে গেছে জেলার ১৭শ ২টি পুকুরের মাছ। এতে মাছ চাষীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৯কোটি টাকা।

অপরদিকে বন্যা অনেক এলাকায় বিশুদ্ধ পানির ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। বাড়ছে পানীবাহীত রোগ। গরু খাদ্যের সংকট চরম আকাড় ধারন করছে। বেশির ভাগ এলাকায় সরকারি ত্রান সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে বিস্তর।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন অফিস জানিয়েছে, জেলায় বন্যা কবলিতদের জন্য  এপর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম বন্যাদূর্গতদের মাঝে পৌছে দেয়া হচ্ছে ।  শুধু খাদ্যই নয়   বিতরণ করা হচ্ছে নগদ অর্থ।

মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপ কিছুটি কমছে। তাই জেলার বর্তমান  বন্যা পরিস্তিতি উন্নতি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন  পানি কমবে। ফলে নদীতীরবর্তি গ্রাম গুলোতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে বালিবর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here